ছবি: প্রতীকী
ইসলামের মূল গ্রন্থ পবিত্র কোরআন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর হাদিসে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের কথা বলা হয়েছে।
ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজ জীবনে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যেখানে বিরোধীদের প্রতি তিনি সহনশীল আচরণ করেছেন। কোনো বিরোধী অসুস্থ হলে তিনি তাকে দেখতে যেতেন। তার আন্তরিকতায় অনেকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন। ইসলামের এই শিক্ষা অনুযায়ী, একজন প্রকৃত মুসলমানের পক্ষে ভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ে আঘাত করা অসম্ভব।
ইসলাম সাম্প্রদায়িকতাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য সংগ্রাম বা যুদ্ধ করে, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।" (সুনানে আবু দাউদ, ৫১২৩)।
কোরআনে বলা হয়েছে, "ধর্মের ব্যাপারে জোরজবরদস্তি নেই। সঠিক পথ ভুল পথ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।" (সূরা বাকারা, ২৫৬)।
এমনকি অন্য ধর্মের দেবদেবীর উপাস্যদের গালি দেওয়া নিষিদ্ধ। কোরআনে বলা হয়েছে, "যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে দেবদেবীর উপাসনা করে, তাদের গালি দিও না। এতে তারা জেনে বা না জেনে আল্লাহকে গালি দিতে পারে।" (সূরা আনআম, ১০৮)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যদি কোনো মুসলমান ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর জুলুম করে, কেয়ামতের দিন আমি তার বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে দাঁড়াব।" (সুনানে আবু দাউদ, ৩০৫২)।
মুসলমানদের প্রতি নির্দেশ ছিল যুদ্ধকালীন সময়েও কোনো মন্দির বা উপাসনালয়ে আঘাত করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের সময় এই নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হতো। (মুসান্নাফ আবি শায়বা, ৩৩৮০৪)।
ইসলামের এই নীতিমালা অনুযায়ী ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এম.কে.