ছবি: প্রতীকী
প্রেম মানুষের অন্তরের বিশেষ একটি অনুভূতি। এটি কারো প্রতি আবেগ ও গভীর অনুভূতির সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়। ইসলামে প্রকৃত প্রেম হলো মহান আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ভালোবাসা। এ প্রেম ছাড়া কোনো মানুষ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারে না।
দুনিয়ার মানুষ একে অপরকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ রক্তের আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তবে বেগানা নারী-পুরুষের মধ্যকার প্রেম ইসলামে নিষিদ্ধ এবং এটিকে হারাম বলা হয়েছে।
পুরুষ ও নারীর অবৈধ সম্পর্ক, যা সমাজে প্রেম নামে পরিচিত, শরিয়ত ও নৈতিকতার পরিপন্থী। এ ধরনের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে অনেক হারাম কাজ ঘটে। যেমন—বেগানা নারীর সঙ্গে নির্জনে থাকা, হারাম দৃষ্টি দেওয়া, অশোভন কথা বলা ইত্যাদি। এসবই জিনার নিকটবর্তী করে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, “ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। এটি অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।” (সূরা ইসরা : ৩২)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “কোনো পুরুষ যেন কোনো নারীর সঙ্গে একা অবস্থান না করে। কারণ তখন শয়তান তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে উপস্থিত থাকে।” (তিরমিজি : ২১৬৫)।
প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক না হলেও তা হারামের শামিল। এমন সম্পর্ক মানুষকে ধীরে ধীরে জিনার দিকে নিয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, “দুই চোখের ব্যভিচার হলো হারাম দৃষ্টি, জিহ্বার ব্যভিচার হলো অশোভন কথা। অন্তরের ব্যভিচার হলো কামনা-বাসনা।” (বুখারি : ৬২৪৩)।
এ ধরনের প্রেম কখনো কখনো মানুষকে শিরকের কাছাকাছি নিয়ে যায়। কারণ অনেকেই তাদের প্রেমিক বা প্রেমিকাকে এমনভাবে ভালোবাসে, যা শুধুমাত্র আল্লাহর প্রতি পোষণীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, “কিছু মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে ভালোবাসে, যেভাবে তারা আল্লাহকে ভালোবাসার দাবি করে।” (সূরা বাক্বারা : ১৬৫)।
ইসলামে বিবাহপূর্ব প্রেমও হারাম। কারণ বিয়ের আগেও এমন সম্পর্ক দৃষ্টিগোচর, কথোপকথন ও অন্তরের ব্যভিচারে সীমাবদ্ধ থাকে, যা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাই প্রতিটি সম্পর্কের শুদ্ধতার জন্য ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলাই একমাত্র পথ।
এম.কে.