
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার জন্য একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বেগম জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাতার থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আশঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার হয়ে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দেয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে তিনি মুক্তি পান। আদালত ওই সময় তার বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির দুটি মামলার রায় বাতিল করেন। এরপর ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়।
১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি থাকার পর জানুয়ারির শেষ দিকে খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে থেকেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মাসে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেন।
বর্তমানে তিনি লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসএফ