
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “দেশের ১৮ কোটি মানুষই আমার। কারণ, তাদের যথাযথ সম্মান ও ভালোবাসা দিতে পারলে তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। তবে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কেউ কিছুই করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে তার গুণাবলীর ভিত্তিতে মর্যাদা দেওয়া হবে। সমাজে মানুষের গুণাবলি দেখে তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হবে।”
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় গণসংযোগের অংশ হিসেবে দাওয়াতি ও অমুসলিমদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “উন্নত বিশ্বে চাকরির জন্য আগেভাগে নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু আমাদের দেশে এমন নিয়ম নেই। কারণ, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর কারো আস্থা নেই। সার্টিফিকেটের সঙ্গে শিক্ষার কোনো মিল নেই।”
তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী চায় এমন একটি সমাজ গড়তে, যেখানে মানুষকে তার যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সম্মান দেওয়া হবে। শিক্ষা শেষে তাদের হাতে কাজ তুলে দেওয়া হবে।”
কুলাউড়া থানায় ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষের জন্য যদি ১০০ জন পুলিশ থাকে, তাহলে এতসব মানুষের জন্য এক শ পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এর মধ্যে যদি একজন জাগ্রত পুলিশ থাকেন, তাহলে অন্যদের আর কষ্ট করতে হবে না।”
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহানগরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলার আমির ইঞ্জিনিয়ার সায়েদ আলী ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী।
এ সময় জেলার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার, উপজেলার আমির সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল মুন্তাজিম, নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা আমির খন্দকার আব্দুছ ছোবহান, নজরুল ইসলাম সুয়েব ও প্রভাষক হামিদ খান, জামায়াত নেতা রাজানুর রহিম ইফতেখার, পৌর সভাপতি রুহুল আমিন রইয়ুব ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিহাব