
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামি, মুক্তি কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান চাই। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামি, মুক্তি কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দুর্নীতি ও পাচারের টাকা দিয়ে দেশে অনবরত অস্থিরতা তৈরি করছেন। যারা ফ্যাসিবাদকে প্রলম্বিত করেছে, তাদের সবার দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। রিজভী বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুন এভাবে না বলে সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু সরকার নির্বাচন বিলম্বিত করে জনগণের প্রত্যাশা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে।
রিজভী বলেন, ছাত্রদের কাজ ক্যাম্পাসে, মন্ত্রণালয়ে নয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছাত্র সংগঠনের কমিটি দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সমাজের কিছু সুবিধাভোগী শ্রেণি ছাত্রদের বিপথে পরিচালিত করছে, প্রলোভনে ফেলছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, প্রধান উপদেষ্টাও শেখ হাসিনার ঈর্ষা, বিদ্বেষ ও আক্রোশের শিকার হয়েছেন।
আমরাও আন্দোলন সংগ্রামে থেকেছি, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়েছি। দু’কজন উপদেষ্টাও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ তাদের মামলা যদি প্রত্যাহার হতে পারে, তাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের লাখ লাখ মামলা এখনো কেন প্রত্যাহার করা হয়নি? অতি দ্রুত বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলাগুলো নিষ্পত্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
গণতন্ত্র ও নির্বাচন এখন সোনার হরিণ- আব্দুস সালাম ॥ দেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচন এখন সোনার হরিণ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের আন্দোলন আজ দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের জন্য অপরিহার্য হয়ে গেছে। জনগণ চায় একটি সংস্কার করা রাজনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে বিএনপি যে সংস্কার করেছে অন্য কোনো দল তা করতে পারেনি।