
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে আদালতে প্রমাণ করতে হবে যে তারা প্রকৃতপক্ষে একটি রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা পূরণ করে। তিনি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটকে "মাফিয়া কার্টেল" হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং দাবি করেন যে তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তিনি জার্মানিতে নাৎসিদের নিষিদ্ধ করা, ইতালিতে ফ্যাসিস্টদের নিষিদ্ধ করার উদাহরণ টেনে বলেন, একইভাবে আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা উচিত, বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি চারটি গণতদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান। প্রথমত, শাপলা চত্বরের গণহত্যার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পিলখানা গণহত্যার জন্য বর্তমানে গঠিত কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন এবং এর পুনর্গঠন দাবি করেন। তৃতীয়ত, গুম-খুন ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে। চতুর্থত, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে আমেরিকার কংগ্রেশনাল হিয়ারিং মডেলে একটি উন্মুক্ত শুনানি কমিশন গঠন করতে হবে। তিনি শহীদ পরিবারদের বক্তব্য সরাসরি শোনার ওপর জোর দেন।
ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ ইতিমধ্যে ১,৪০০ শহীদের রক্তের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে। তিনি দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেন। প্রথমত, নাৎসি মডেলে সরাসরি আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের নিষিদ্ধ করা। দ্বিতীয়ত, সাউথ আফ্রিকার মডেলে সত্য ও সমঝোতা কমিশনের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার এবং ক্ষমা প্রক্রিয়া চালানো। এছাড়া তিনি দাবি করেন যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আগামী তিনটি নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক।
তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক করে বলেন, যেসব শহীদের রক্তের বিনিময়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তাদের রক্তের দাবি উপেক্ষা করলে ইতিহাস তাকে ক্ষমা করবে না। তিনি জুলাই মাসের গণহত্যার স্মরণে রায়ের বাজার বদ্ধভূমিতে শহীদদের কবর জিয়ারতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতদন্ত কমিশন ও গণভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে এবং শহীদদের রক্তের দাবি পূরণ করতে হবে।
সূত্র: https://youtu.be/oAWCywDKDW0?si=R6EFZ7ofzIdWd7L4
আঁখি