
বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা আব্বাস
প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচন বিএনপি উভয়ই চায় জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি কারও কাম্য নয়। নির্বাচনের বিকল্প আর কিছু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় সংস্কার বিপদ ডেকে আনবে তাই এমন সংস্কার আমরা চাই না। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র ফোরাম’ আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচনকে কার্যকর করতে যে সংস্কার দরকার, তা অবশ্যই প্রয়োজন।
তাই নির্বাচনের জন্য, দেশের জন্য, মানুষের জন্য যে সংস্কারটুকু প্রয়োজন আমরা সেই সংস্কার চাই। তবে এ বিষয়ে আমি কথা বললেই কেউ কেউ বলবে মির্জা আব্বাস সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলে, সংস্কার চায় না। জনগণের কল্যাণে যে সংস্কার সেটা অবশ্যই আমরা চাই। মির্জা আব্বাস বলেন, এনসিপির একজন নেতা বললেন এখন নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ প্রশাসনের সব জায়গায় বিএনপির লোক বসা আছে। ১৭ বছর আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করল, আপনি বিএনপির লোক কোথায় পেলেন বুঝলাম না। এই সমস্ত কথা নেহাত বাচ্চাদের কথার মতো।
মির্জা আব্বাস বলেন, ইদানীং একটা গ্রুপ ফেসবুকে বলার চেষ্টা করছে বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। ১৭ বছর আওয়ামী লীগের যন্ত্রণায় পাগল হয়ে গেছি। পরিবার-পরিজনসহ অশান্তিতে ভুগেছি। বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকের পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারের কারণে।
বরং আমি বলতে চাই আওয়ামী লীগকে যারা দেশে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এই দেশে আওয়ামী লীগের অবস্থান থাকতে পারে না, তাদের বিচার হতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনে বিএনপির লোক বসে আছে, এমন বক্তব্য শিশুতোষ।
তবে সচিবালয়ের ভেতরে বসে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলেই কি তাদের সরানো হচ্ছে না? মির্জা আব্বাস বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে চারজন, বাইরে একজনসহ সচিব পদমর্যাদার পাঁচজন এবং উপদেষ্টা পরিষদে থাকা কিছু লোক প্রধান উপদেষ্টাকে সঠিক পথে চলতে দেবে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। মির্জা আব্বাস বলেন, ৫ আগস্ট আমিও রাজপথে ছিলাম।