
ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ সাংঘর্ষিক বার্তা ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেকে ভারতের কাছে নগ্নভাবে সঁপে দিচ্ছে। এটি একটি জাতীয় আত্মমর্যাদার প্রশ্ন।”
সাক্ষাৎকারে রাশেক রহমান প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি এখনও সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে দলের সাবেক বা বর্তমান মন্ত্রীরা কেন নিজেদের "সাবেক" বলে পরিচয় দিচ্ছেন?
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন তিনি এখনো সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী। তাহলে তার মন্ত্রীরা কেন নিজেদের ‘সাবেক’ বলছেন? এতে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এটা তো ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।”
তিনি এটিকে রাজনৈতিক সমন্বয়ের ঘাটতি বলেও উল্লেখ করেন এবং বলেন, “দলের ন্যারেটিভ স্পষ্ট নয়। অনেক নেতাকর্মী কনফিউজড। সরকারের অবস্থান আর দলীয় অবস্থান আলাদা হওয়া উচিত।”
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি বিদ্রুপাত্মকভাবে বলেন, “এই অবস্থা চলতে থাকলে ১৯৭১ সালের মতো একটি ‘প্রবাস সরকার’ ঘোষণা করতে হতে পারে—যেখানে সবাই নিজেদের ‘বর্তমান মন্ত্রী’ দাবি করবেন, তবে থাকবেন দেশের বাইরে।”
রাশেক রহমান পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। তবে বন্ধুত্ব মানে এই নয় যে আমরা নিজেদের সমস্ত কিছু সঁপে দেব। আমাদের নিজেদের রাজনৈতিক শক্তির উপর ভরসা রাখতে হবে। সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠ—যেই হোক, তার উপর অন্যায় হলে পাশে দাঁড়াতে হবে দলীয় শক্তি দিয়ে, বিদেশি সহযোগিতার উপর পুরোপুরি নির্ভর করে নয়।”
তিনি বলেন, “যে কোনো বিদেশি শক্তি সহযোগিতা করতে পারে, কিন্তু তা যেন আত্মসমর্পণের পর্যায়ে না পৌঁছায়। দেশের ভেতরের সমস্যা দেশের শক্তি দিয়েই সমাধান করতে হবে।”
ভারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। তবে তাই বলে প্রতিটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে তাদের সন্তুষ্টি বা চাপের প্রতিফলন থাকা উচিত নয়।”
নুসরাত