
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ভোটব্যবস্থায় মূল সমস্যা ভোটিং পদ্ধতিতে নয়, বরং ভোট গণনার স্বচ্ছতার অভাব এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার।
সোমবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার বা কর্তৃত্ববাদ ভোটিং পদ্ধতির কারণে আসেনি, এসেছে ভোট সঠিকভাবে গণনা না করার কারণে। যদি একজন ভোটার নিশ্চিত হন, তাঁর ভোট গণনা হচ্ছে, তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।"
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে দেখা গেছে, ভোটের দিন রাতে ভোট দেওয়া হয়েছে অথচ দিনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ভোট গোনার দায়িত্বে যারা থাকে, তাদের অনেকেই দুর্নীতিতে জড়িত। ভোটিং পদ্ধতির কোথাও লেখা নেই যে, এসপি ও ডিসিরা মিলে ভোট করবে।
আব্দুন নূর তুষার বলেন, পরোক্ষ বা ইন্ডিরেক্ট ভোট ব্যবস্থা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে। তার ভাষায়, ঢাকা শহরের ১২৯টি ওয়ার্ডে যদি ভোট হয় এবং সেখানে যদি কাউন্সিলররা ভোট দেন, তাহলে নয় বা দশজন ভোটারকে কিনে নিলেই সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু কোটি ভোটারকে কেনা এত সহজ নয়।
তিনি আরও বলেন, পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী কেবল নয়জন প্রতিনিধিকে কিনেই ক্ষমতা দখল করতে পারে। এটি প্রকৃত গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আব্দুন নূর তুষার বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার জরুরি হলেও তার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ভোট গণনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, যদি সরকার সত্যিকারের সংস্কার করতে চায়, তাহলে সবার আগে ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে হবে।
এ সময় তিনি এটাও স্মরণ করিয়ে দেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময় প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যা ইতিবাচক দিক। তবে ব্যবস্থাপনায় কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেও মত দেন তিনি।
এসএফ