
ফাইল ছবি
সংস্কার ও নির্বাচন পরস্পরবিরোধী নয়—এগুলো চলমান একটি প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সংস্কার এবং নির্বাচন একে অপরের বিকল্প নয়। বরং দুটিই পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে ভোট ছাড়া একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। এই শাসন ব্যবস্থায় দেশের নির্বাচনী কাঠামো ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনকে কার্যত নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। ফলে ফ্যাসিবাদের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিকভাবেই তাৎক্ষণিক নির্বাচন চায়নি।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে একটি যৌক্তিক সময় দিতে চেয়েছি—যার মধ্যে তারা জরুরি কিছু সংস্কার সম্পন্ন করবে। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে করবে। এটাই ছিল আমাদের মূল ফোকাস।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন—এই ধারণা অবাস্তব। সংস্কার কখনোই একটি এককালীন প্রক্রিয়া নয়। এটি চলমান একটি ধারা। আজ যা সংস্কার হচ্ছে, আগামী এক-দুই বছর পর বাস্তবতার নিরিখে তা আবার নতুনভাবে সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকি, তাহলে সংস্কার স্বাভাবিকভাবেই সামনে আসবে।
বিএনপি নেতা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক যত গভীর হবে, সংস্কার তত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এবং সংকট কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।
এসএফ