ছবি: জনকণ্ঠ
বারবার দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে বিএনপি— এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ। তিনি বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির ১ নম্বর সদস্যও।
গতকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) সদর উপজেলার চরহোগলা ইউনিয়নের শ্রী শ্রী সার্বজনীন হরি ঠাকুর মন্দিরে “শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানে” প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, “ধর্মের নামে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। যে যার ধর্ম পালন করবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি। ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের জান-মালের নিরাপত্তা দিয়ে প্রত্যেক পরিবারকে সুরক্ষিত রেখেছে।” অথচ, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে এ সম্প্রদায়।
আবু নাসের আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর তারেক রহমানের নির্দেশে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর ও সম্পদ পাহারা দিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছিল বিএনপির কর্মীরা।”
তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তায় দিনযাপন করে। অথচ বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসররা হিন্দু সম্প্রদায়ের সাড়ে ৩ হাজার বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নথিভুক্তও রয়েছে। এছাড়া, ঐসব ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত বলেও প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমাগত হামলা ও দাঙ্গার পেছনেও আওয়ামী লীগের দোসররা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত— এমন তথ্য পুলিশের তদন্তেও উঠে এসেছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘু পরিবারগুলো নিরাপদে থাকে, এবং তাদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা হয়। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।”
এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— কুয়েত বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির হাওলাদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আকন, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আসিফ আল মামুন, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম উজ্জ্বল, স্বাধীনতা ফোরামের সদস্য সচিব নাজমুস সাকিব, মন্দির কমিটির সভাপতি ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক অভিনাশ এবং কোষাধ্যক্ষ সুভাষ বৈদ্য প্রমুখ।
এম.কে.
