
দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতার প্রেক্ষিতে বিরোধী দলীয় এক নেতা সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেন, “হাসিনারা পালিয়ে গেছে—এটা ঠিক, তবে অর্থ পালায়নি। বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা জরুরি, কারণ এই দলটির আর রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।”
তিনি বলেন, “গত ৫ তারিখের ঘটনার পর আট মাস কেটে গেছে। এখনো ঢাকা শহরে হঠাৎ হঠাৎ জটিকা মিছিল হচ্ছে। গতকাল, পরশু—প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে। যারা অপরাধী, যাদের হাতে রক্তের দাগ শুকায়নি, তারাই এসব করছে। গত ১৬–১৭ বছরে এই গোষ্ঠী ছিল জনগণের শত্রু। তাই পালিয়ে গেছে। কিন্তু পালিয়ে গেলেও বিচার হয়নি।”
বক্তব্যে আরও বলা হয়, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যারা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। জনগণ এখন স্পষ্টভাবে দ্রুত বিচার এবং রাজনৈতিক সংস্কার চায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সংস্কার আরও জরুরি।”
তিনি দাবি করেন, “৫ তারিখের সহিংসতার সময় লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র ও হেলমেট বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এতে করে সেই অস্ত্রগুলো আবারও অপব্যবহার হতে পারে। প্রশাসন এখনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারের উচিৎ অবিলম্বে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা এবং এসব জটিকা মিছিলকারীদের কঠোরভাবে দমন করা।”
তিনি বলেন, “এই আন্দোলনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে, তাদের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা বেশি। যদি এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হয়, তাহলে তা আবার জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে। সরকারকে তাই আরও তৎপর হতে হবে।”
রাজু