
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৭ বছর জনগণ তার রায় দেওয়া থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল বারবার বলছে এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, জনগণের হাতে রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দেবার জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী একটি সংস্কার করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। নির্বাচন কখন হবে তা ঠিক করবে জনগণ, সরকার নয়। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ ওয়ার্ড পর্যায়ের যে নির্বাচন সেখানেও অংশগ্রহণ করতে পারছে না। গত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন দলগুলো অত্যাচার নির্যাতন, হত্যা, গুম, খুন, মামলার স্বীকার হয়ে রাজপথের আন্দোলনে বিরোধী দলগুলো ছিল। সেই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে এসে ছাত্রজনতা, সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কী আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই অভ্যুত্থান হলো? একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচার জন্য এই আন্দোলন হয়েছিল। এখন যে সরকার আছে তারা অনির্বাচিত। কিন্তু গণমানুষের সেই চাহিদা টিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা এসেছিল। সাধারণ মানুষ ও সকল রাজনৈতিক দল এই সরকারের প্রতি আস্থা রেখেছে। জনগণ যা চায় তারা তাদের ভোটের মাধ্যমে রায় প্রদান করবে।
এখনো দেশি বিদেশি এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের এই অর্জনের ফল কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না। সংস্কার করতে গিয়ে আমরা এতোটা না দেরি করে ফেলি যে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পেয়ে যায়।
তিনি বলেন, সংস্কার নিয়েও কথা হতে পারে সকল দলের অংশগ্রহণে। এই সরকার সংস্কার করতে পারে তবে সাংবিধানিক কিছু সীমাবদ্ধতা থেকে যায়। সেই জায়গা থেকেই এখন নির্বাচন প্রয়োজন।
মায়মুনা