ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৬:১৭, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বুধবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে এ সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির এ তথ্য জানান।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। সফরের অংশ হিসেবে তারা এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জামায়াতের সঙ্গেই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কীভাবে ও কখন অনুষ্ঠিত হবে— এসব বিষয়ে জানতে চান। তারা আরও জানতে চান, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল কী ধরনের সংস্কার চায় এবং ভবিষ্যতে জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তাদের অর্থনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে।

জামায়াত আমির জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একেবারেই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। প্রতিনিধি দল সংখ্যালঘুদের অধিকার, নারীর অধিকার এবং শ্রমিক অধিকার সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন।

ডা. শফিক বলেন, “আমরা সব প্রশ্নেরই স্পষ্ট জবাব দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছি, কারণ বর্তমানে দেশ এক সংকটময় ও গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে একটি ফরমাল চিঠি প্রদান করা হয়েছে বলে আমরা অবগত।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দলের অভ্যন্তরেও আমরা গণতান্ত্রিক চর্চা করি। দেশের প্রতিটি অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে আমরা অংশ নিয়েছি।”

সাবেক সামরিক শাসন এরশাদ সরকারের আমলে কেয়ারটেকার সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এরশাদ আমলে যখন দেশে গণতন্ত্র প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল, তখনকার জামায়াত আমির গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকারের প্রস্তাব দেন, যা পরে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এসে সেটিকে বাতিল করেছে। এখন পুরো জাতি সেই ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।”

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই আগামী নির্বাচন পবিত্র রমজানের আগেই অনুষ্ঠিত হোক। কারণ জুনের দিকে দেশে বর্ষা, ঝড় ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকে, যা নির্বাচন কার্যক্রমকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলতে পারে। তাই রমজানের আগেই নির্বাচন শেষ হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।”

সায়মা ইসলাম

আরো পড়ুন  

×