ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

এই মুহূর্তে এনসিপির ওপর মানুষের আস্থা কতটুকু? যা বললেন মনিরা শারমিন

প্রকাশিত: ০১:২২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০১:২২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

এই মুহূর্তে এনসিপির ওপর মানুষের আস্থা কতটুকু? যা বললেন মনিরা শারমিন

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে এই মুহূর্তে এনসিপির উপর মানুষের আস্থা কতটুকু প্রশ্নের প্রসঙ্গে বলেন, “এই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা নানান ধরনের বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে গেছি। কারণ, প্রথমে এটা ছিল শুধুমাত্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটা ব্যানার। এরপর আমরা একটু গুছিয়ে আসার চেষ্টা করেছি এবং শেষ পর্যন্ত এখন জাতীয় নাগরিক পার্টি হিসেবে আমাদের আত্মপ্রকাশ।”

তিনি আরও বলেন, “এই জায়গা থেকে এখানে আসলে শুধুমাত্র ছাত্র, যারা একদম ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতৃত্বও আছে। আমি যদি বলি, আমাদের সময় যারা ২০১৮ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং নানান ধরনের এক্টিভিজমের সাথে যুক্ত, তারাও এখানে আছেন। সুতরাং এই জায়গা থেকে যেহেতু নেতৃত্ব অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবতা, সেটা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে অনেক ধরনের কাজকর্ম হয়ে গেছে বা ইম্যাচিউরিটি ছিল। সেই জায়গা থেকে আমরা এক্সপেক্ট করি গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই।”

তিনি বলেন, “আমরা তো আসলে সমালোচনাগুলোকে খুব স্বাভাবিকভাবে নেই। কারণ, এই কথা না বলতে পারাই তো গত ১৬–১৭ বছরের একটা সবচেয়ে বড় কনস্ট্রেন্ট। আমরা এটা বলতে পারিনি। আপনিও এমন অনেক প্রশ্ন করতে পারেননি, যেটা এখন করতে পারছেন। সুতরাং এগুলো আমরা খুবই স্বাভাবিকভাবে নেই এবং আমরা ওয়েলকাম জানাই।”

মনিরা শারমিন জানান, “আমরা গতকালকে যেরকম ছিলাম, আমাদের যদি কেউ সমালোচনা করে, আমরা শিখছি প্রতিদিন এবং আমরা প্রতিদিনই নিজেদের চেষ্টা করছি ঠিক করার জন্য। সেই জায়গা থেকে আমরাও চাই,যারা অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, তাদের থেকেও শিখতে। আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি।”

তিনি বলেন, “ব্যাপারটা হচ্ছে গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম জানাই। তবে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে যে ধরনের মেসেজ আসে। ঈদের কথাই যদি বলি, আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ, আমরা নিজেদের এলাকায় গেছি। সুতরাং এই জায়গা থেকে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার প্রত্যক্ষ করেছি। মানুষ আমাদের বলে, 'তোমরা এরকম করো না, এটা করো।' কিন্তু মানুষ যে আসলে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে বা একটা নেগেটিভিটির জায়গা সৃষ্টি হয়েছে,এমনটা খুব বেশি দেখিনি। বরং আমরা বিভিন্নভাবে বেশি ওয়েলকামিং হয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন এলাকায় গেছি, তখন আমাদের বলা হয়েছে যেন আমরা এগিয়ে আসি। আমি যদি বলি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকেও আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছি। আবার অনেক জায়গায় ওয়েলকামিং পরিস্থিতিও ছিল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নেতিবাচকতা ছিল। অনেকেই হয়তো নিজেদের এলাকায় গিয়ে মারমুখী পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের একটা সিম্প্যাথির জায়গা অবশ্যই আছে। এবং আমরা সেটাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চাই, একে এক্সপ্লয়েট করতে চাই না। বরং এটাকে স্ট্রেন্থ হিসেবে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”

সূত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=6p82w8Ll4Qc

ইমরান

×