ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

মার্চ ফর গাজা’য় ছাত্রশিবির সভাপতির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানালেন সাইমুম সাদী

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ১৫ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৪:৫১, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

মার্চ ফর গাজা’য় ছাত্রশিবির সভাপতির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানালেন সাইমুম সাদী

ছবি: জনকণ্ঠ

গাজার প্রতি সংহতি জানাতে গত ১২ এপ্রিল মার্চ ফর গাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীতে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স কক্ষে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বৈঠক চলাকালীন সময় দেখা যায় তিনি চেয়ার ছেড়ে পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রশংসায় ভাসেন জাহিদুল ইসলাম। 

সেদিন আসলে কী ঘটেছিলো। কেন বসার জন্য চেয়ার পাননি দেশের বৃহত্তর ছাত্র সংগঠনের সভাপতি তার কারণ জানালেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী)। 

মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সাইমুম সাদী বলেন, ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের পেছনে দাড়িয়ে থাকার এই ছবিটি নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন।  

মূলত ওইদিন দুপুরে মার্চ ফর গা যার দাওয়াতি মেহমান যারা তাদেরকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স কক্ষে জমায়েত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেখানে জাহিদও  অতিথি হিসেবেই এসেছিলেন। 

আগেই সিদ্ধান্ত ছিলো, অতিথি সবাই গুরুত্বপূর্ণ।  সবাইকে বক্তৃতা দিতে  দিলে এতবড় সমাবেশ কন্ট্রোল করা কঠিন হবে৷ তাই সবাই মঞ্চে দাঁড়াবেন ।  সকলের বক্তব্য প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হবে একসাথে। 

কিন্তু এই যে কাউকেই বক্তব্য দিতে দেওয়া হবেনা, এই সিদ্ধান্ত এবং বিস্তারিত রোডম্যাপ মুফতি আবদুল মালেক হাফি. মাধ্যমে আগেই ঘোষণা দেওয়ার জন্য আবারও সবাইকে জমায়েত করা হয় এখানে । 

জাহিদ বসা ছিলেন। আমি শায়খ আহমাদুল্লাহ সাহেব সহ পেছনে এসে দাড়াই। জাহিদ নিজের সিট থেকে উঠে অনেকটা জোর করেই সেখানে বসিয়ে দেন আমাকে৷ 

এতবড় একটা সংগঠন,  একটা ঐতিহ্যবাহী শহীদী কাফেলার কেন্দ্রীয় সভাপতি অথচ একটুও অহংকার নেই,  সব সময় হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে থাকেন  - এটা এই সময়ে আমার নিকট  অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

রাজনৈতিক চেয়ার নিয়ে যখন কাড়াকাড়ি ধাক্কাধাক্কি হয় এমনকি প্রেস রিলিজে নাম আগে পরে দেওয়া না দেওয়া নিয়ে খুনোখুনি পর্যন্ত হওয়াটা আমাদের রাজনৈতিক কালচার, সেই সময় এরকম একটা দৃশ্যের সাথে পরিচিত হওয়াটা অবশ্যই তাৎপর্যের দাবি রাখে। 

আমরা যে শ্লোগান দেই, এই শতাব্দী হচ্ছে ইসলামের বিজয়ের শতাব্দী - এই বিজয় আসবে এইসব বিনয়ী ও ডেডিকেটেড তরুণদের হাত ধরে ইনশাআল্লাহ।

শিহাব

×