ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

পহেলা নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “শুভ নববর্ষ। পহেলা বৈশাখে দেশের মানুষের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হলো—দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট শাসক হাসিনা জনগণের ভোটাধিকারসহ মৌলিক অধিকার হরণ করে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছেন।”

রাজধানীর পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে ‘সতীর্থ স্বজন’ আয়োজিত নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ছাত্রদলের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন, “আমি তখন কারাগারে, বাইরে তীব্র আন্দোলন চলছিল। পুলিশ বলেছিল—‘একজনকে গুলি করলে আরেকজন এসে দাঁড়ায়।’ এই অদম্য সাহস এসেছে জাতীয় কবি নজরুলসহ অনেক কবি-সাহিত্যিকের প্রেরণাদায়ক লেখা ও সংগীত থেকে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “গত ১৫ বছরে পরিকল্পিতভাবে দেশের সংস্কৃতিতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। এমনকি পহেলা বৈশাখেও মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীকে নিয়ে অপপ্রচার হয়েছে। দাড়ি ও টুপি পরা মানুষদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ এ ধরনের পোশাক পরা মানুষগুলোকে খারাপ হিসেবে চিত্রিত করা অন্যায়।”

ভোটাধিকারের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই ছিল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য। সেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন জাতীয় চাওয়া।”

তিনি বলেন, “সংস্কার ও গণতন্ত্রকে আলাদা করে দেখা যায় না। গণতন্ত্র মানে সংস্কার—যা প্রবাহমান নদীর মতো। এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো স্থান নেই। গণতন্ত্র যেখানে থাকবে, সংস্কার সেখান থেকেই জন্ম নেয়।”

শিহাব

×