
ছবি: সংগৃহীত
৫ আগষ্ট মানিকগঞ্জের শিবালয় থানা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪ নেতার জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
রবিবার এজাহার ভুক্ত আসামীদের মধ্যে ৫ জন মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বিজ্ঞ আদালতে জামিন প্রার্থনা করে। এর মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার দরুণ এক জনের জামিন মঞ্জুর করা হলেও বাকি ৪ জনকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারত মোঃ লিয়াকত আলী মোল্লা।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা রুজু হয়। দায়েরকৃত মামলায় দীর্ঘদিন আত্নগোপনে থাকার এক পর্যায়ে এদের অনেকই মহামান্য হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেয়। রবিবার নিম্ন আদালতে হাজিরা কালে শিবালয় উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন লালন, জেলা আ. লীগ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, উথলী ইউনিয়ন আ. লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস আলী ও একই ইউনিয়ন আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক সাধন দাসকে জমিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আাসামী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জনকণ্ঠে জানান, ৫ আগষ্ট থানায় হামলা-অগ্নিসংযোগ ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রজু হয়। জামিন শুনানীকালে ৫ জনের মধ্যে বাইপাস সার্জারী ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এমএ. কুদ্দুসের জামিন মঞ্জুর হয়।
উল্লেখ্য, জামিন প্রাপ্ত এমএ. কুদ্দুস শিবালয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আসিফ