
ছবি: জনকণ্ঠ
কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, “যদি একটা পরিবার ভালো হয়, একটা সমাজ ভালো হবে। একটা সমাজ যদি ভালো হয়, সমগ্র দেশটা ভালো হয়ে যাবে। আর এ জন্য মূল হলো—মানুষকে ভালো হতে হবে। ভালো মানুষের বিকল্প নেই। ভালো মানুষ না হলে চলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের নেতৃবৃন্দের কাছে বার বার আমাদের নেতা তারেক রহমান বলছেন, ৫ তারিখের পরে যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, দখলবাজি করেছে, তেল চুরি করেছে, জাহাজ চুরি করেছে—এরকম যা কিছু করেছে, এদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে। সে যত বড় শক্তিশালীই হোক, দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, আমাদেরকেও নিতে হবে।”
রবিবার বিকেলে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে চতলার মাঠে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একই দিনে তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গেও হরিহরপাড়ায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল বারী ভূঁইয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এস. এম. আসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. রাসেল মাহমুদ, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বলসহ নেতাকর্মীরা।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, “বিএনপির অনেক নেতাকে দেখবে আমার পাশে নেই। আমি তাদেরকে আমার পাশে আসতে দিই না। কেন? তাদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তারা অন্যায় করেছে, লুটপাট করেছে, তারা জুলুম-নির্যাতন করেছে, মানুষ তাদেরকে ভালোবাসে না। সেজন্য আমিও তাদেরকে পছন্দ করি না। আমার সাথে তাদেরকে দেখবেন না। আমার সাথে দেখবেন, যাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। কারণ তারা সৎ জীবন যাপন করে, ন্যায়ের পক্ষে থাকে। তাদেরকে নিয়ে আমি কাজ করি।”
তিনি আরও বলেন, “ভালো মানুষকে প্রতিনিধি বানাতে হবে, ভালো মানুষকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের মা-বোনদের কথা আপনাদেরকে ভাবতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি এবং ধানের শীর্ষকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে আমাদের মা-বোনেরা। বারবার তারা ভোট দেন, তারা কিছু চায় না, তারা শুধু দিতে জানে, নিতে জানে না। তাদেরকে অবশ্যই পারিবারিকভাবে মর্যাদা দিতে হবে, তাদের সম্মান দিতে হবে সব জায়গায় এবং তাদের ভালোমন্দের কথা বিবেচনা করতে হবে।”
“আগামী দিন বিএনপি যদি দেশ সেবার সুযোগ পায়, আমাদের নেতা তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন—এই দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে যা কিছু করার দরকার, বিএনপি তাই করবে ইনশাআল্লাহ।”
এম.কে.