ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

মেঘনা আলমের দন্ডাদেশ ফ্যাসিবাদী জমানার কথা মনে করিয়ে দেয়: সাইফুল হক

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১২ এপ্রিল ২০২৫

মেঘনা আলমের দন্ডাদেশ ফ্যাসিবাদী জমানার কথা মনে করিয়ে দেয়: সাইফুল হক

ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে দণ্ডাদেশ দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই মেঘনা আলমকে গ্রেফতার এবং আটকাদেশ প্রদান ফ্যাসিবাদী জমানার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা।

শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যেভাবে মেঘনাকে তার বাসা থেকে জবরদস্তিমূলকভাবে তুলে নিয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে, তা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। এ ধরনের নিপীড়ন স্বাধীনতাযুদ্ধোত্তর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “৭৪-এর বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার পরিপন্থী। এসব আইন বাতিলের বিষয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইতোমধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। অথচ দুই দশক পর একজন নারীর বিরুদ্ধে এই ধরনের নিবর্তনমূলক আইনের প্রয়োগ সরকারের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ববোধের ঘাটতির প্রকাশ। কেন এবং কীভাবে এই আইন প্রয়োগ করা হলো, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা সরকারকে দিতে হবে।”

সাইফুল হক বলেন, “যদি মেঘনা আলম কোনো অপরাধ করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের আওতায় বিচার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা কেবল অগণতান্ত্রিকই নয়, সরকারের ভাবমূর্তিও এতে ক্ষুণ্ন হয়েছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “একজন বিদেশি নাগরিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যেভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে, দেশের নাগরিক হিসেবে মেঘনা আলমের অধিকারের সুরক্ষায় সরকার সেই ধরনের কোনো সংবেদনশীলতা দেখায়নি।”

সাইফুল হক অনতিবিলম্বে মেঘনা আলমকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের আহ্বান জানান। একইসাথে, মেঘনার গ্রেফতার ও হয়রানির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

এম.কে.

×