
ছবি সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী যুব সংহতির উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ইসরায়েলের নৃশংসতা এবং পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মদদ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।
সাইফুল হক বলেন, “মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তায় ইসরায়েল গাজায় ইতিহাসের অন্যতম বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। গোটা এক জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে তারা। এ অপরাধে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সোপর্দ করা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এটি পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আউটপোস্ট’ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক আধিপত্য বজায় রাখার হাতিয়ার। ট্রাম্পের ‘গাজা খালি করে আবাসন গড়ার’ প্রস্তাব দম্ভ, ঔদ্ধত্য এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।”
জাতিসংঘকে "অকার্যকর প্রস্তাব পাশের সংস্থা" আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “ভেটো ক্ষমতা বিলুপ্ত করে জাতিসংঘকে গণতান্ত্রিকভাবে পুনর্গঠন করতে হবে। নয়তো মানবতার পক্ষে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী যুব সংহতির আহ্বায়ক যুবনেতা বাবর চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্যসচিব মীর রেজাউল আলম, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক জামাল সিকদার, বিপ্লবী যুব সংহতির সংগঠক মোহাম্মদ স্বাধীন ও আরিফুল ইসলাম, এবং বিপ্লবী ছাত্র সংহতির নেতা জোনায়েদ হোসেন।
বক্তারা বলেন, “ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকারে আমরা রাজপথে থাকব।”
সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে তোপখানা রোড, বিজয়নগর এবং সেগুনবাগিচা এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
আশিক