ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্ত দেখতে চাই না: কাদের গনি চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্ত দেখতে চাই না: কাদের গনি চৌধুরী

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, “শুধু ইসরায়েলের পণ্য নয়, ইসরায়েলকেই বয়কট করতে হবে। ইসরায়েল মানবতার শত্রু। সারা বিশ্বের উচিত তাদের বয়কট করা।”

আজ বিকেলে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে পেশাজীবীদের মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। পরে বিপুল সংখ্যক পেশাজীবী নয়াপল্টনে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ র‍্যালিতে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. এমতাজ আহমেদ, প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. রফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ ড. শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাসিন আহমেদ, জাহানারা সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন আকন্দ, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক সাঈদ খান, রিয়েল রোমান, ইঞ্জিনিয়ার হানিফ প্রমুখ।

পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে নেতারা বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এতে গাজা ও রাফায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে, যা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তারা বলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আহ্বানকে অগ্রাহ্য করে বারবার ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। “আমরা ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্তও ঝরতে দেখতে চাই না,” বলেন কাদের গনি চৌধুরী।

বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নীরব। এ কেমন মানবতা? মুসলমানদের কি মানবাধিকার নেই? ফিলিস্তিন যেহেতু একটি মুসলিম দেশ, তাই কি তারা চুপ করে আছে? এদের মুখে মানবাধিকারের বুলি মানায় না।”

পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে জোরালোভাবে আহ্বান জানান— নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা এবং অবরুদ্ধ গাজা ও রাফায় দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

নুসরাত

×