
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ৫ আগস্টের পর দেশে সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা এদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু কেউই শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারেনি। ইসলামী নীতি-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে দেশে ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।”
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার মাদরাসা ময়দানে এক মাহফিলে যোগদানের আগে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো এক প্লাটফর্মে আসার ইঙ্গিত দিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, “আমরা ভেবেছি, ইসলামের পক্ষে একটি অভিন্ন ব্যালট বাক্স দেওয়া যায় কি না। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জোরালোভাবে কাজ চলছে।”
সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ফ্যাসিস্ট শাসন চলেছে। সরকার যা ইচ্ছা তাই করেছে, তাদের দোসররা প্রতিটি স্তরে সক্রিয় ছিল। তারা দেশকে পরিণত করেছে বিদেশি তাবেদারে। সংবিধানকে দলীয় দলিল বানিয়ে প্রয়োজন মতো সংশোধন করেছে। সুতরাং নির্বাচনের আগে যুক্তিসঙ্গত সংস্কার অপরিহার্য।”
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে হওয়ার ঘোষণা আমরা ও দেশের জনগণ স্বাগত জানিয়েছি। এই নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচন হলেও আমাদের আপত্তি নেই।”
পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী নববর্ষ উদযাপন হোক, তবে উলঙ্গতা ও বেহায়াপনা যেন না থাকে—এটাই আমাদের অনুরোধ।”
ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা নিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, “আল্লাহ আমাদের যতটুকু শক্তি দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা প্রতিবাদ করছি। সারা বিশ্বের মানুষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরাও এর প্রতিবাদ করছি।” তিনি আরও জানান, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলেছেন—এটা প্রশংসনীয়।”
আসিফ