
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। ছবিঃ সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসু'র সাবেক সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছিলেন যে সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য ছাত্র প্রতিনিধিদের এখন সরকার থেকে পদত্যাগ করা দরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা সভায় নিজস্ব মতামত দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে বলে এসেছি এ ধরণের সরকার যদি গণুঅভ্যুত্থানে বা বিপ্লবে সবার অংশীদারিত্বে না থাকে তাহলে দেশ চালানো কঠিন হয়ে যাবে। এজন্যই আমরা সরকার গঠনের আগে বলেছিলাম যে আপনারা একটা জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করেন। তাহলে রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং দেশ চালানো আপনাদের জন্য সহজ হবে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন আমরা জাতীয় সরকার গঠন করতে৷ চেয়েছিলাম। এটি আসলে পদত্যাগ করার কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন। তার মানে আমাদের যেই প্রস্তাবনা ছিল, অর্থাৎ জাতীয় সরকার বা জাতীয় ঐক্যমতের সরকার, সেটি যে আসলে একটি সঠিক প্রস্তাবনা ছিল তা নাহিদ ইসলাম স্বীকার করেছেন। তিনি আবার একটি দলের উপর দায় চাপিয়েছেন, যে সেই বিশেষ দল চায়নি বলে আমরা পারিনি৷ তাহলে আমার কথা হল, সেই দল চাইবে না বলে আপনি চুপ হয়ে যাবেন? অন্য কারো সাথে আলোচনা করবেন না। এটি তো কোনো বুদ্ধিমানের মত সিদ্ধান্ত হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্খা ছিল জাতীয় ঐক্যমতের সরকার এবং সেখানে যারা বিপ্লবে অংশ নিয়েছে সবার অংশীদারিত্ব থাকবে। এই কথা শুধু আমরা বলছি না। অনেক বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক দল কিন্তু এই জাতীয় ঐক্যমতের সরকারের কথা বলেছে। এবং আমি মনে করি অনেক উপদেষ্টা এটি অনুভব করেন।’
‘আমরা সরকারকে বলেছি যে আপনারা ডিসেম্বরে নির্বাচন দিবেন নাকি মার্চে দিবেন সেটি পরের বিষয়। যতদিন আপনারা ক্ষমতায় রয়েছেন ততদিন আপনারা জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করেন। আপনারা উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করেন। কারণ উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে অনেক ধরণের বিতর্ক কিন্তু আছে। যেহেতু আমাদের ছাত্র বন্ধুরা একটি দল গঠন করেছেন, তাই এই মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়কের কোনো অস্তিত্ব নেই। এইজন্য সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য বাকী ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করা উচিৎ। কারণ নাহিদ ইসলাম, আসিদ মাহমুদ, মাহফুজ আলম তারা তো একই যোগসূত্রের। এবং দল গঠনের সময় তারাও উপস্থিত ছিলেন। আর এর সমস্ত আলোচনা হত মন্ত্রী পাড়ায়। এখন যেহেতু একজন পদত্যাগ করেছে, তাহলে বাকীরা যদি সরকারে থাকেন তাহলে মনে হবে যে বাকী দুইজন এনসিপিকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে’, বলেছেন রাশেদ খান।