
সাম্প্রতিক এক টেলিভিশন টকশোতে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মহোদয় তার বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে বললেন, "সালাম কেউ দেয় ভালোবেসে, কেউ দেয় ভয়ে" — এই মন্তব্যে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য যেন অনিশ্চিত সময়ের এক প্রতিচ্ছবি, যেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে জাতি অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত।
উত্তরবঙ্গের এই দিকপালের বক্তব্যে উঠে আসে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত—
নবগঠিত রাজনৈতিক দলটির এক মুখপাত্র, যিনি প্রফেসর ইউনুসের নিয়োগকর্তা হিসেবেও পরিচিত, তার সেনাসদরে ১১ মার্চের সফর এবং পরবর্তীতে সেই সফরের বয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ঘটনা।
এরপরই কনক সারোয়ার, ইলিয়াস ও পিনাকি ভট্টাচার্যের মধ্যকার আলোচনায় উঠে আসে হাসনাতের স্বীকারোক্তির প্রসঙ্গ। তবে সার্জিস নামক আরেক সহযোদ্ধা হাজির করছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাখ্যা।
নেত্র নিউজ প্রকাশ করেছে সেনাসদরের বক্তব্য— আলোচনার দাবি ভিত্তিহীন, বরং ওই নেতারাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলেন, যা প্রাপ্ত হয়েছে বহুদিন পর।
ডিজিটাল যুগের বাস্তবতায় “হঠাৎ তৈরি বয়ান” আর সহজ নয়—
সেনা সদর জানিয়েছে, ফোনকল রেকর্ড ও কললিস্টই অনেক কিছু প্রমাণ করতে পারে। তাই দায়িত্বশীল মহলে যে কেউ যেকোনো বক্তব্য দিলেই, তার বিপরীত ব্যাখ্যা হাজির করা বা পাল্টে ফেলা এখন আর কার্যকর পথ নয়।
উত্তর ও দক্ষিণে গ্রেফতার-আটকের ঘটনা, বিতর্কিত ইফতার মাহফিল ও ফান্ডের উৎস ঘিরে প্রশ্ন—
সিলেটের একজন সমন্বয়ক গ্রেফতার হয়েছেন।
ইন্টারকন্টিনেন্টালে হওয়া এক ইফতার মাহফিলের বিল কে পরিশোধ করেছেন, তহবিল এসেছে কোথা থেকে, সে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
দলটির এখনও আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন না থাকায় আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সজীব ভূঁইয়ার বক্তব্যে বিতর্ক আরও উসকে ওঠে—
সাবেক উপদেষ্টা ও মন্ত্রীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত একজন নেতার অন-রেকর্ড বক্তব্যে উঠে এসেছে “হাতে অস্ত্র তুলে নেয়া হত” — এমন ইঙ্গিত, যা দেশে সম্ভাব্য গৃহসংঘর্ষের পূর্বাভাস দিচ্ছে বলে অনেকের আশঙ্কা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার স্ট্যাটাস দেওয়া এবং তা পরবর্তীতে সরিয়ে ফেলার পদ্ধতি।
সামাজিক বাস্তবতায় পড়ছে প্রভাব—
“ভালোবাসা থেকে সালাম দেয়ার চেয়ে, এখন ভয়ে সালাম দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে,” বলেও মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়— রাজনীতি এখন শুধু আদর্শের বিষয় নয়, এটি হয়ে উঠেছে নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একের পর এক ঘটনা, পাল্টা প্রতিক্রিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিতর্ক এখন জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। “সালাম কেউ দেয় ভালোবেসে, কেউ দেয় ভয়ে”— এই বাক্য যেন রয়ে যাচ্ছে সময়ের গভীর প্রতিধ্বনির মতো।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=Bw_ebFPUnQI
রাজু