
“আমরা আগামীর একটি উজ্জ্বল বাংলাদেশ গড়ব—বাংলাদেশকে ব্যাংকক কিংবা সিঙ্গাপুরের মতো হতেই হবে এমন নয়,” বললেন বিএনপির শীর্ষ নেতা আমীর খসরু। তিনি বলেন, দেশের বাস্তবতা ভিন্ন, এবং সেই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে। একমাত্র সঠিক জায়গায় দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে মূলত তিনটি পথ আছে—এক, টাকা ছেপে উন্নয়ন, যেটি বর্তমান সরকার করেছে; দুই, ঋণ নির্ভর উন্নয়ন, যার ফলাফলও আমরা দেখেছি; এবং তিন, বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নয়ন, যা সবচেয়ে টেকসই ও কার্যকর পন্থা।
বক্তব্যে উঠে আসে ১৯৯১ সালে বিএনপির সময়কালে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের কথাও, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা অংশ নিয়েছিলেন। আমীর খসরুর ভাষায়, “আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছিলাম, যার ফলেই আজকের গার্মেন্টস শিল্প এবং প্রাইভেট সেক্টরের যে ব্যাপক গ্রোথ আমরা দেখছি, সেটি সম্ভব হয়েছে।”
তিনি সরকারের ধারাবাহিকতার অভাবের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ভালো উদ্যোগগুলো থেমে যায়। কিন্তু আমরা চাই এ ধরনের ভালো উদ্যোগ যেন বন্ধ না হয় বরং আরও বড় পরিসরে এগিয়ে যায়। কারণ, বিএনপির রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আর বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়লেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়। তাই সবার আগে দরকার একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, গণতান্ত্রিক সরকার ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।”
বক্তব্যের শেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “আজকের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করে তুলবে এবং আগামী দিনে আমরা একটি বিনিয়োগনির্ভর, টেকসই ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারব।
রাজু