
সংগৃহীত
লেখক ও এক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা, সেটা নিয়ে প্রেসিডেন্টকে দেওয়ার পক্ষে আমি না। কারণ, প্রেসিডেন্টের কোন কাজ নাই। তাকে যদি আপনি ক্ষমতা দেন, সারাদিন সে ষড়যন্ত্র করবে।”
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে ফাহাম আব্দুস সালাম তার এ মতামত তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো এবং নেতৃত্বের বিষয় নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি এনসিসির প্রস্তাবনা নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ওখানে তো মোট নয়জন আছেন। মানে আপনি যদি দেখেন যে, এনসিসির মধ্যে মোট নয়জনকে প্রস্তাব করা হয়েছে, দুজন হচ্ছে সরকারের স্পিকার, সরকারের দলীয়, দুইজন হচ্ছে বিরোধীদলীয় স্পিকার। দুইজন হচ্ছে গিয়েই বেসিক্যালি এন্টাগনিস্টিক পজিশনে যাবেন, ইমাজিন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের যে খেসলত, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট এক জায়গায় থাকবেন, এখানে আমার হিসাব, এখানে কিং মেকার হবে প্রধান বিচারপতি। আমার দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান অর্থাৎ মিলিটারি হেড কে হবে? এটা কেন প্রেসিডেন্ট বিরোধীদলীয় নেতার এখানে সে থাকবে কেন?”
ফাহাম আব্দুস সালাম তার বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “মানে এটা একটা এক্সিকিউটিভ পোস্ট। দুই তিনটা পজিশনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো উচিত। নির্বাচন কমিশনার, আমরা দেখেছি যে নির্বাচন কমিশনার পদে এবং প্রধান বিচারপতি এবং আমার হিসেবে মানবাধিকার কমিশনার- এই তিনটা পজিশনের জন্য আমার কাছে মনে হয় যে সকলের মত নেওয়া দরকার। সকলের মত নেওয়ার জন্য কোন এনসিসির প্রয়োজন নাই।
তিনি বলেন, “ইউ ক্যান ডু ইট ইন মেনি ডিফারেন্ট বেজ। গভমেন্ট ধরেন বলল যে, প্রধান বিচারপতি কে হবে? তিনজনের নাম পাঠালো। সেই তিনজনকে একটা সংসদীয় কমিটি তাদের ইন্টারভিউ নিল এবং সেই ইন্টারভিউ দেখে গোপন ব্যালেটে সবাই ভোট দিবে লোয়ার হাউসে।”
তার বক্তব্যের শেষে তিনি পুনরায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা, সেটা নিয়ে প্রেসিডেন্টকে দেওয়ার পক্ষে আমি না। কারণ প্রেসিডেন্টের কোন কাজ নাই, তাকে যদি আপনি ক্ষমতা দেন, সারাদিন সে ষড়যন্ত্র করবে। এটা হচ্ছে গিয়েই বাংলাদেশের যে খাইসলত এবং বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ভারতবর্ষের ইতিহাস পড়ে আমি যা বুঝেছি।”
ফাহাম আব্দুস সালাম আরও যোগ করেন, “কাউকে আপনি যদি রেসপন্সিবিলিটি দেন, তাকে অথরিটি দিতে হবে। দুটার একটা দেওয়া যাবে না। একটা প্রেসিডেন্ট যে কোন কাজ করে না, শুধু একটা কাজ করে, যে কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবে, কে প্রাইম মিনিস্টার হবে, কে এই আর্মি হেড হবে-এই সমস্ত ব্যাপারে যদি প্রেসিডেন্ট শুধুমাত্র ইন্টারভেন্ট করেন, তখন দেখা যাবে যে তাকে নিয়ে একটা বলয় সৃষ্টি হবে বাংলাদেশে।”
সূত্র:https://tinyurl.com/2e58jffn
আফরোজা