
শেখ রাসেলের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফোরকান মাস্টার (গোলাকার চিহ্নিত)
এবার উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান হোসেন ওরফে ফোরকান মাস্টারের বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দলীয় পদে থাকা অবস্থায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ১৫ বছরে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও দিবসে অংশ নিয়েছেন, বক্তব্য দিয়েছেন।
উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে তিনি ছবি তুলেছেন, ফায়দা লুটেছেন। বিএনপির নেতা হয়েও ১৫ আগস্টের সভায় বক্তব্য দিয়েছেন, শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় ওই ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরা যারা নির্যাতিত হয়েছেন, জেল খেটেছেন, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন—তাদের মধ্যে অনেকে ফোরকান মাস্টারের সেই সময়ের কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
আর এই ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার কারণে ফোরকান মাস্টার কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খলিলকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ওমর ফারুকের বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং লাঠিসোটা নিয়ে কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের ১ নম্বর সদস্য রাকিবের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কনকদিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মী জানান, আওয়ামী লীগের সময় ফোরকান মাস্টার যেভাবে সুবিধা নিয়েছেন, তেলবাজি করে লাভবান হয়েছেন—তা দলীয় আদর্শের সাথে যায় না। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর এখন সেই ফোরকান মাস্টার ইউনিয়নের গডফাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি এখন আওয়ামী লীগের লোকজনকে লালন-পালন করছেন। তার ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের নির্যাতকেরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান হোসেন ওরফে ফোরকান মাস্টার বলেন, “আমি কনকদিয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করি। চাকরি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক রেখে চলেছি। আমিও বিএনপি করার অপরাধে অনেক নির্যাতিত হয়েছি। আমার পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছি—বিষয়টি সঠিক নয়।”
এম.কে.