
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, "পতিত স্বৈরাচারকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে উৎখাত করতে হবে।"
তিনি বলেন, বিএনপির সংগ্রামের ইতিহাস অনেক পুরনো ও গৌরবময়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি বারবার জাতীয় সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এসেছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, আমাদের প্রিয় সহকর্মী আব্দুস সালাম পিন্টু ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তা আগেই বলেছেন। শহীদ জিয়ার মতো একজন সৎ, দেশপ্রেমিক ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক নেতাকে দেখার সৌভাগ্য যাদের হয়েছে, তারা সত্যিই সৌভাগ্যবান। তার অনুপস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়া অসীম সাহসিকতার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র নয় বছরের মাথায় আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছিলেন। এটি ইতিহাসে একটি বিরল দৃষ্টান্ত।”
তিনি আরও বলেন, "আমরা টানা ১৬ বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছি। এই সময়ে বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করা হয়েছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, ৭০০-র বেশি নেতাকে গুম করা হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছেন এবং লাখো নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। দেশের এমন কোন গ্রাম বা অঞ্চল নেই যেখানে বিএনপির কেউ নির্যাতনের শিকার হয়নি।"
নজরুল বলেন, "গত জুলাই ও আগস্টের গণআন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না যদি আমরা এই পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণরূপে উৎখাত করতে না পারি। কেউ যদি লোভে পড়ে তাদেরকে আশ্রয় দেন, তারা শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন এবং কেউই তাদের ক্ষমা করবে না।”
তিনি বলেন, বিএনপি সেই রাজনৈতিক দল যারা দেশে রাজনৈতিক সংস্কার, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বরাবরই লড়াই করেছে। “বিএনপির ভিশন ২০৩০, ২০২২ সালের ২৭ দফা ও ২০২৩ সালের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি প্রমাণ করে আমরা বরাবরই সংস্কারের পক্ষে ছিলাম। আজকের সরকার যেসব সংস্কারের কথা বলছে, তার অনেক আগেই আমরা সেই প্রস্তাব রেখেছিলাম।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, "আমরা উচ্চসভার কথা বলেছি, ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি, বিচার বিভাগের ও জনপ্রশাসনের সংস্কারের কথা বলেছি। যারা বিএনপিকে সংস্কারের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরছেন, তারা মূলত নির্বাচন বিলম্বিত করে নিজেদের জন্য সুবিধা নিতে চাইছেন। কিন্তু দেশের মানুষ আর তাদের সেই সুযোগ দেবে না।"
তিনি বলেন, “এক দফার আন্দোলনের মূল দাবি ছিল শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এর একটি বাস্তবায়িত হয়েছে, আরেকটি এখনো বাকি। সেটি আদায় করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
আব্দুস সালাম পিন্টুর প্রসঙ্গে নজরুল বলেন, “ওরা চেয়েছিল ১৭ আগস্ট তার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে ২১ আগস্ট উৎসব পালন করবে। কিন্তু আল্লাহ তা হতে দেননি। বরং আল্লাহর রহমতে তিনি মুক্ত হয়েছেন, কারণ নিশ্চয়ই তার জন্য কোনো মহৎ উদ্দেশ্য আছে। আপনারা তাকে ভুলেননি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, "আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের চেতনা ধারণ করে এই দেশকে দুর্নীতি ও দুঃশাসনমুক্ত করে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তর করি। ইনশাআল্লাহ, আমরা পারব।"
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/Jsffgoh1S_I?si=EBabBKcqb9QK_i8t
এম.কে.