
ছবিঃ সংগৃহীত
বিদেশে শিক্ষকতা করার সুযোগ পেলেও রাজনৈতিক দায়িত্ববোধের কারণে তা গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক-শোতে এ বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘ব্রুণাই ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করার সুযোগ দিয়ে আমার কাছে যখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটা আসলো তখন জিয়াউর রহমান সাহেব কেবল শাহাদাত বরণ করেছেন। আমি তখন বরিশাল জেলা যুবদলের সেক্রেটারি। এবং গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সেক্রেটারি। বরিশাল তখন খুলনা বিভাগের আওতায়। বরিশাল তখনও আলাদা বিভাগ হয়নি। তখন কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে। এবং বিএনপি'র এক সময়কার মহাসচিবও ছিলেন কিছুদিনের জন্য। উনি এবং শহীদুল আল জামাল, এক সময়কার হুইপ, এই দুইজন মিলে আমাকে নিয়ে গেলেন ক্যান্টনমেন্টে, বেগম খালেদা জিয়ার সামনে। তিনি এই জিনিসটা শোনার পরে আমাকে বললেন, আপনারা সবাই যদি এখন বাইরে চলে যান তাহলে রাজনীতির দায়িত্ব নিয়ে আর আমি কি করবো। বিচারপতিই তাহলে দলটা চালিয়ে নিক। আমাকে দায়িত্ব নিতে বলছেন আমি আর দায়িত্ব কেন নিবো?’
তিনি বক্তব্যে সংযুক্ত করেন, ‘সেদিনের বেগম খালেদা জিয়ার কথাটি আমাকে খুব আবেগী করে ফেলেছিল। মনের মধ্যে একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল যে আমি কি কাজটা ঠিক করছি? নাকি উনি যেটা বলছেন তার সাথেই আমার একাত্মা হওয়া উচিৎ। আমি বরিশালে আমার মা এবং বোনের সাথে কথা বললাম। আমার মা আমাকে বললেন, জিয়াউর রহমান খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। উনাকে যেভাবে মেরে ফেলা হয়েছে সেটা ঠিক না। উনার স্ত্রী যদি রাজনীতি করতে চান তাহলে তুমি এখানেই থাকো। বিদেশে গিয়ে কি লাভ হবে? এখানে থেকেই হয়তো এক দিন ভালো কিছু হবে। আর তখনই আমি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম।’
মুমু