
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে জাতীয় পার্টি। ভবিষ্যতে দলটি আর প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে দলটির চেয়ারম্যানের দাবি আগের চেয়েও জনপ্রিয় তারা। এমনকি আগামীতে নির্বাচনের বাইরে থাকা দলের ভোটও যাবে লাঙ্গল মার্কায়।
জুলাই আন্দোলনে হাসিনা সরকার আর তার দল আওয়ামী লীগের কপালে শুধু পুড়েনি, তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিকেও ঠেলে দিয়েছে খাদের কিনারে। কালেভদ্রে সমালোচনা করলেও বছরের পর বছর সংসদে আওয়ামী লীগের বন্দনায় মুখর হয়ে তথাকথিত বিরোধী দলের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে জাতীয় পার্টি। তাই গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমাও জুড়ে যায় দলটির সাথে। সঙ্গত কারণে ৫ আগস্টের পর জনতার রুদ্ররোষ পড়ে জাতীয় পার্টির উপর। ডাকা হয় না অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের সংলাপেও।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, "বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের দুটো অস্তিত্বতে একবারে হাত দিয়েছে। মানে সংগঠন নষ্ট করার চেষ্টা করছে, রাজনীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমাদের মানুষের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে তাদেরকে ঘরের ভিতর থাকতে বলা হচ্ছে। আবার একই সঙ্গে আমাদের রাজনীতি নিয়ে বিরাটভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। যেটা সবাই জানেন যে আমরা কি প্রেক্ষিতে কখন কি নির্বাচন করেছি।"
বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে দুবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন গেল তিন দশকের ভুল রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে দলটিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডক্টর মাহবুব উল্লাহ বলেন, "জাতীয় পার্টি একটা এতিম দলে পরিণত হয়েছে এবং এইটার কারণ হচ্ছে তাদের সুবিধাবাদী রাজনীতি। ৯১ সংসদেও তাদের কিছুটা সন্তোষজনক অবস্থা ছিল, ৩৫ টি আসন ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের এ জনপ্রিয়তা এবং ভোটের মাঠে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমতে থাকে এবং নির্বাচনেও তারা আর অতীত এই ৯১ সালের মত এত সংখ্যক সিট তারা পায় নাই। ফলে তারা হচ্ছে কি ক্ষমতার রাজনীতির যে দাবার গুটি সে দাবার গুটি হিসেবে তারা ব্যবহৃত হয়েছে।"
মহিলা রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, "এটা একটা ও ছোট্ট একটা পার্টি হিসেবে রিজিওনাল রংপুরের দিকে কয়েকটা সিট নিয়ে বাংলাদেশ রাজনীতিতে থাকবে এবং কোন পার্টি তাকে নিয়ে আরো এলায়েন্স করবে না। তার যে বদনাম হয়েছে বিএনপিও করবে না, যদি আসে ক্ষমতায়। আর ছাত্ররা তো করবেই না।"
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=YiZGxwUqnxk
আবীর