
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কটুক্তি করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুন (৪২) গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাত সোয়া ৯টার দিকে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরক মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে সম্প্রতি এলাকায় ফেরেন মামুন। এরপর তিনি রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে আওয়ামী লীগবিরোধীদের উদ্দেশে হুমকিসূচক মন্তব্য করেন এবং গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের ধারণাকে কটাক্ষ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে উপস্থিত জনতা।
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মামুন, উপজেলার সিধইল গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ওমরপুর হাটে একটি প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডের মামলা রয়েছে।
বাসস্ট্যান্ড এলাকার দোকানদারদের ভাষ্যমতে, মামুন রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে গিয়ে উত্তেজনাকর মন্তব্য করেন। মুহূর্তেই আশপাশের লোকজন তাকে ঘিরে ফেলে এবং একপর্যায়ে গণপিটুনি দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর কুমিড়া পন্ডিতপুকুর স্কুল মাঠে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মামুনুর রশিদ মামুন ছিলেন এজাহারভুক্ত আসামি। পরে ২৫ অক্টোবর সিধইল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, “গণপিটুনির কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও করেনি।” তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নুসরাত