
ছবি : সংগৃহীত
সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সমাজে সমালোচনা ও স্বীকৃতি দেওয়ার সংস্কৃতির অসামঞ্জস্যতা নিয়ে তীব্র মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমরা সমালোচনা করতে ভালোবাসি, মুখিয়ে থাকি—কিন্তু সাধুবাদ জানাতে লজ্জা পাই। এটা আমাদের মানসিক দৈন্যতা।"
আযমী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের মানুষ এতটা শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে রোজা পালন এবং ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন বলে তাঁর স্মৃতিতে পড়ে না। "দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ সংকটের অনুপস্থিতি, এবং সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন জীবনযাপন—এসবের কৃতিত্ব স্বীকার করতে আমাদের সংকীর্ণ মন বাধা দেয়," বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি সমাজের একাংশের মানসিকতাকে চিহ্নিত করে বলেন, "যারা উদারমনা, তাদের উচিত ইতিবাচক পরিবর্তনকে স্বীকৃতি দেওয়া। শুধু সমালোচনা নয়, সাধুবাদ জানানোরও সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।" তাঁর এই বক্তব্যে ফুটে উঠেছে একটি উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতিকে মূল্যায়ন না করার প্রবণতা নিয়ে ক্ষোভ।
আযমীর এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী তাঁর বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সাফল্যগুলোও ন্যায্য মূল্যায়ন পাওয়া উচিত। অন্যদিকে, কেউ কেউ যুক্তি দেখান যে সমালোচনা গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ, তবে ইতিবাচক দিকগুলোও উপেক্ষা করা যাবে না।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার বক্তব্য বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক আলোচনায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁর মতে, "অন্ধ সমালোচনা বা অন্ধ প্রশংসা নয়, বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দেওয়াই সুস্থ সমাজের লক্ষণ।"
আঁখি