ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

কেউ আত্মগোপনে, কেউ কারাগারে; এদিকে জমজমাট বিএনপি নেতাদের বাড়ি

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ১ এপ্রিল ২০২৫

কেউ আত্মগোপনে, কেউ কারাগারে; এদিকে জমজমাট বিএনপি নেতাদের বাড়ি

একপাশে উৎসব, অন্যপাশে নিস্তব্ধতা-রাজনীতির বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপট স্পষ্ট এবারের ঈদে।হাসিনা সরকারের পতনের পর এবারের ঈদ যেন বদলে গেছে অনেকের জন্য। একদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বাড়িতে নেমে এসেছে সুনসান নীরবতা-কেউ আত্মগোপনে, কেউ কারাগারে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর সরগরম বিএনপি নেতাদের বাড়ি।

দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় বিএনপি নেতাদের বাসাগুলোতে ফিরে এসেছে উৎসবমুখর পরিবেশ। রাজনীতির পালাবদলে একসময়ের আলোচিত আওয়ামী পন্থী ব্যবসায়ীরাও এখন জনশূন্য বাড়ির মালিক। চট্টগ্রামের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদের বাড়িতেও নেই মানুষের আনাগোনা।


দীর্ঘ ১৬ বছর পর চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালা জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে বিএনপি-জামাত নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। জামাতে অংশ নেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী. বিভিন্ন পর্যায়ের অন্যান্য নেতারা।

দীর্ঘ সময় পর নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিএনপির নেতারা।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন-“অনেক বছর পর মুক্তভাবে ঈদ করতে পারছি, ভালো লাগছে। দেশের মানুষ আজ স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারছে। এবারের ঈদটা একটু ভিন্ন, সবার মাঝে স্বাভাবিকভাবেই বেশি আনন্দ বিরাজ করছে।”

আওয়ামী নেতাদের বাড়িতে নীরবতা, রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এখন জনশূন্য।এদিকে চট্টগ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে দেখা গেছে ভিন্ন এক চিত্র। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের বাড়িগুলোতে নেই কোনো উৎসবের আমেজ।

মাত্র কয়েক মাস আগেও যেসব বাড়ি ছিল রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু, সেখানে এবার নেই নেতাকর্মীদের আনাগোনা। পাঁচলাইশ সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বাড়িও এখন নিস্তব্ধ। তার পটিয়ার গ্রামের বাড়িতেও একই অবস্থা।

আফরোজা

×