
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতির সময় "যেখানে প্রস্রাবে ধরে, এর নাম হচ্ছে কুমিল্লা" – এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে ভাইরাল হয়েছেন মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া, কুমিল্লার বিএনপি নেতা। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোবাশ্বের কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায়।
জানা গেছে, শুক্রবার নাঙ্গলকোট উপজেলায় একটি ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। এ সময় তিনি ‘বেয়াদব ও মুনাফেকদের’ জন্য ফাঁদ পেতেছেন বলেও জানান। তার এসব বক্তব্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। দলের নেতাদের নিয়ে এমন বক্তব্যের বিষয়ে মহানগর বিএনপির নেতারা হাইকমান্ডকে লিখিতভাবে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন।
ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মোবাশ্বের আলমকে বলতে শোনা যায়, "আবু এবং টিপুকে নিয়ে আগে কমিটি দেওয়ায় আবু তা মেনে নিতে পারেনি। রিয়েক্ট করেছে। আবু ভাই আমার বিরুদ্ধে ধর্মসাগর পাড়ে বক্তব্য দিয়েছে। নিয়তি দেখেন। তখন টিপু ভাই কিন্তু প্রতিবাদ করেনি। ওনারা এখন এক ও অভিন্ন। একসঙ্গে সুখে শান্তিতে সংসার করছে। (উৎবাতুল বারী আবু, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও ইউসুফ মোল্লা টিপু, সাধারণ সম্পাদক) ওনাদের শত্রু আমরা, কারণ আমরা বহিরাগত। ওনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী?"
ভিডিওতে আরও তিনি বলেন, "ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতিকালে যেখানে প্রস্রাবে ধরে, এর নাম হচ্ছে কুমিল্লা। আমরা বহিরাগতরা দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোক সাপ্লাই দিই। আমাদের সঙ্গে ওনাদের প্রেম, লোক সাপ্লাই দেওয়াই। ওনাদের স্বার্থে তারা কারও ভাই না, আত্মীয় না। আমি এলাকায় ১৫৫ ওয়ার্ডে ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারব। আপনারা পুরো মহানগরের ২৭ ওয়ার্ডে এমন ২৭টি অনুষ্ঠান করতে পারবেন না। আপনাদের চেয়ে আমাদের পুঁজি খারাপ না।"
সদ্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের মনোনীত হওয়া হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমালোচনা করে মোবাশ্বের বলেন, "এক মাঘে শীত যায় না। ইয়াছিন সাবের পরিণতি দেখেন। ২০১৭ সালে আমাকে বাদ দিয়ে পাকা সুপারি দিয়েছে, কষ্ট হয়েছে, সহ্য করেছি। ওনার ২৫ সালে বড় কাঁঠাল হানডায় গেছে। কাঁঠাল সহ্য করতে পারেননি। উপদেষ্টা হয়েছেন। পমোশন হয়েছে। কিন্তু জেলা থেকে বাদ গেছেন, অপমানিত হয়ে। একজন টাকা দিয়ে কমিটি কিনেছে, তা টেকেনি। আমরা এখনও আছি। ২/৪ টায় বেয়াদবি করেছে। যদি কোনোদিন আল্লাহ সুযোগ দেয়, দাঁত ভাঙা জবাব দেব। মনে আছে লোকমান, আমি যখন কান্দিরপাড় উঠেছি, চেয়ারে চেগাই বসে রইছে, দুই রান ধরে ছিড়ে ফালাইব। আমি বেয়াদব ধরার ও মুনাফেক ধরার ফাঁদ বসাইছি, এ ফাঁদে অনেক বেয়াদব, মোনাফেক অনেক বেইমান ধরা খাইবে। সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।"
নুসরাত