ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

নির্বাচন সুষ্ঠু করেনি বলেই আন্দোলন হয়েছে: রিজভী

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৯ মার্চ ২০২৫

নির্বাচন সুষ্ঠু করেনি বলেই আন্দোলন হয়েছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একবার বলা হচ্ছে নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে, আবার শোনা যাচ্ছে মার্চে কিংবা জুনে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য না দিয়ে জাতিকে একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে আশ্বস্ত করা জরুরি।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করেন, আন্দোলন কি শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য? প্রকৃতপক্ষে, নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার কারণেই আন্দোলন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করেননি। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তিনি দেশকে রক্তাক্ত আন্দোলনের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। অতীতে, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আত্মত্যাগের বিনিময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল, যা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে না হলেও তাদের সমর্থন পেয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “আন্দোলনকারী দলগুলো যখন নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ চায়, তখন কখনো ডিসেম্বর, কখনো মার্চ, আবার কখনো জুনের কথা শোনা যায়। এ ধরনের অনিশ্চয়তা দূর করতে সরকারকে একটি নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করতে হবে।”

ঈদের আগে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “এখনো ১২২টি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা তাদের বেতন পাননি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা সরকারকে দ্রুত সমাধান করতে হবে।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের স্বীকৃতির বিষয়ে রিজভী বলেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়ার কারণেই আদালত ইশরাককে মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না।”

তিনি আরও বলেন, “ইশরাক চাইলে জোর করে তার অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে পারত। কিন্তু তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে ১৭ জন রিকশাশ্রমিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আন্দোলনের বিজয়ের পর তাঁদের সন্তানদের যদি স্কুলের বেতন দিতে না পেরে কষ্ট পেতে হয়, তাহলে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সরকারকে অবশ্যই এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে।”

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের পরিবার যেন কষ্টে না থাকে। তাদের সন্তানেরা যেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। এ দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।”

সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/19dTyD1Re7/

আসিফ

×