
দেশের শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারগুলোর সহায়তার জন্য আমাদের নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে তাদের জন্য চাকরি বা জব প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা করতে পারি কিনা, তার জন্য আলোচনা করছি। দ্বিতীয়ত, আমরা শিক্ষাবৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি, যেখানে সম্ভব হবে। তৃতীয়ত, ভোকেশনাল ট্রেনিং বা অন্যান্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজে কর্মক্ষম পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
এছাড়াও, ঈদ উপলক্ষে জামা এবং এক্সেসরিজে ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আহত পরিবার এবং শহীদ পরিবারগুলোর অনেকেই দীর্ঘস্থায়ী মানসিক কষ্ট ও ট্রমার মধ্যে রয়েছেন, এর জন্য আমরা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কাজ করছি যারা মানসিক পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করে। আমরা ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে কয়েকটি আলোচনা ও মিটিং করেছি এবং আশা করছি, এপ্রিল-মে থেকে শহীদ ও আহত পরিবারের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ শুরু করতে পারব।
অতিরিক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলতে চাই, আমরা সরকার থেকে ১০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড পেয়েছি এবং প্রাইভেট সেক্টর থেকে আরও ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছি। এর মধ্যে, আমরা ৯৬ কোটি টাকা খরচ করেছি। আমাদের ফান্ড এখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ঈদের পর, সরকারী সহায়তার বাইরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক এবং কোম্পানির কাছে ফান্ড সংগ্রহের জন্য আবেদন করব। আমাদের লক্ষ্য হলো আহতদের পরিবারগুলোর ৬০% সহায়তা নিশ্চিত করা, যাদের মধ্যে ৮৭% শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এই ফান্ড রেজিং পরিকল্পনা আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হবে, যাতে শহীদ ও আহত পরিবারের পূর্ণবাসন নিশ্চিত করতে পারি।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=3x-sW1ly4-w
রাজু