
ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান (লোক প্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেনতিনি বলেন,
"৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। জনগণের মধ্যে আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, যদিও ছয় মাসের মধ্যে সব প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে ইতিবাচক কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও চলাফেরার সুযোগ।"
"এই আন্দোলন শুধু ৫ আগস্টেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান। বিভিন্ন স্তরের মানুষ—যাদের সন্তানদের গ্রেপ্তার বা হত্যা করা হয়েছে, যারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষতিগ্রস্ত—সকলেই এতে শরিক। তবে আন্দোলনের পর বেনিফিশিয়ারি কারা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সরকার নিজেই বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে ছাত্রদের সুপারিশ বিবেচনা করা হয়েছে, যা তাদের দায়বদ্ধতা নির্দেশ করে।"
"অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নেপথ্যে সমর্থন দিলেও আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্ররা। কিন্তু বর্তমান সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি দূরত্ব স্পষ্ট। উদাহরণস্বরূপ, কিছু মহল থেকে বলা হচ্ছে, 'শেখ হাসিনা যদি পাঁচ বছর থাকতেন, তাহলে এই সরকারও থাকতে পারত'—এ ধরনের বক্তব্য কেন আসে? এটি অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।"
"আমি জানতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কয়জন ৫ আগস্টের আন্দোলনে অবদান রেখেছেন? তাদের নিয়োগের মানদণ্ড কী ছিল? আমরা যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছি, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খেয়েছি, তাদের এই প্রশ্ন করার অধিকার আছে।"
"আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক—রাস্তায় সংঘর্ষ, স্বর্ণলুণ্ঠন, গুলিবিদ্ধের ঘটনা ঘটছে। অতীতের সাফল্যের গল্প না বলে বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।"
"নতুন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ চাই, যেখানে নেতৃত্বে আসা ব্যক্তিরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করবেন। নাহিদ সাহেবের মতো যারা মিডিয়ায় তাদের সম্পদ প্রকাশ করেছেন, এটি ভবিষ্যতে বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।"
সূত্র:https://youtu.be/tOjUntPTGU4?si=JyMs53TOW3fumUol
আঁখি