
যারা ’৭১ এবং ’২৪ এক কাতারে মাপতে চান না, তারা ৪৭, ৫২, ৭১ অস্বীকার করেন: ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, "৭১ এবং ২৪ কে যারা এক কাতারে মাপতে চান না, তারা ৪৭, ৫২, ৭১ তারা অস্বীকার করেন!"স্বাধীনতা দিবসে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভায় একথা বলেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
তিনি আরও বলেন, "কোন একটাকে অস্বীকার করলে মূলত আপনাকে সবগুলোকে অস্বীকার করতে হবে।"৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারীদের জন্য দোয়া করে তিনি বলেন, "আল্লাহ তাআলা তাদেরকে দেশের জন্য, ইসলামের জন্য, জনগণের জন্য, স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্য জীবন দিয়েছেন। আল্লাহ তালা তাদেরকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন।" একই সাথে যারা আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারী আছেন, তাদের সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
ড. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, "সেই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, ৭১ এর অর্জিত মানচিত্রকে মানুষের কাছে একটি মুক্ত মানচিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, অর্জিত পতাকাটাকে সম্মানিত পতাকা করার জন্য, অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য আমাদের তৎকালীন মেজর জলিল আমাদের জন্য যে কথা বলেছিলেন, অর্জিত স্বাধীনতা যত সহজ, এটি রক্ষা করা তার চেয়েও কঠিন।"
তিনি জানান, "সেই কঠিন দায়িত্ব পালন করার জন্য ২০২৪ এ যারা জীবন দিয়েছেন, সেই অর্জিত স্বাধীনতাকে আবার আমাদের মানুষের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যারা আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে, চোখ হারিয়ে, হাত হারিয়ে, পা হারিয়ে আমাদের আজকের নতুন বাংলাদেশ দিয়েছেন, আমরা তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। তারা সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।"
যারা শহীদ হয়েছেন, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে "শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন এবং তাদের পরিবারগুলোকে আল্লাহ তাআলা হেফাজত করুন।"তিনি বলেন, "আজকে আমরা এরকম একটা বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশে আমাদের মূল চাহিদাটা কী ছিল? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার কী ছিল? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল সাম্যের কথা, আমাদের একত্রিত হওয়ার কথা, ঐক্যবদ্ধ জাতি বিনির্মাণের কথা ছিল।"
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করে আজকের ৫৪ বছরে এসে ড. শফিকুল ইসলাম লক্ষ্য করেন, "প্রত্যেক সরকার সবচেয়ে বড় বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে। এই দেশের মধ্যে ঐক্যের নামে তারা জাতি বিভেদের রাজনীতি সৃষ্টি করেছে। আজকে ২০২৪ এ এসেও আমরা খেয়াল করি, সেই ৭১ এর অর্জিত স্বাধীনতাকে যেন অর্থহীন করা না যায়।" তার ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ এর অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেও অর্থবহ করা না যায়, তার জন্য কেউ কেউ এখনও ঠিক "ফ্যাসিবাদের সুরে তাদের প্রতিধ্বনি, তাদের বক্তৃতার মধ্যে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়।"
সূত্র: https://tinyurl.com/yc7frp2z
আফরোজা