
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, "যদি আজকের যুগে কেউ মৌলবাদীদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হবে না, কেউ বলে, তাহলে বলা হবে তুমি কে? আমি কে? মৌলবাদ, মৌলবাদ!"
স্বাধীনতা দিবসে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভায় একথা বলেন ড. শফিকুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, "পরিষ্কার বলতে চাই ৭১ পরবর্তী এই ৫৩ বছরে যারা স্বাধীনতার সূর্যকে, স্বাধীনতার অর্থকে, স্বাধীনতার সুখকে, মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তারাই ২০২৪ এ এসে আবার আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সেই একই কথা বলে ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি আপনার জাতির কাছে তুলে ধরছেন। ফ্যাসিবাদের উত্তরসূরী হিসেবে জাতি আবার তাদেরকে চিহ্নিত করতে বাধ্য হবে।"
তিনি উল্লেখ করেন, "আমি একটা কথা বুঝি ভাই, আমাদের দেশের মানুষ এখন এটাতে তো আমাদের পেট ভরবে না। আমরা কে পক্ষে ছিলাম, কে বিপক্ষে ছিলাম। এই পক্ষ-বিপক্ষের কথা তুলে, ট্যাগিং এর রাজনীতি করেই তো আমাদের তরুণ প্রজন্ম স্লোগান তুলেছিল 'তুমি কে, আমি কে? রাজাকার, রাজাকার!'"
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, "এই স্লোগান তুলতে তো বাধ্য করেছিল ফ্যাসিস্টরা। আবার যদি আজকের যুগে কেউ মৌলবাদীদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হবে - এই কথা তো শেখ হাসিনা বলেছিল। এই কথা তো ইন্ডিয়া বলেছিল। সেই কথা যদি আজ কেউ বলে আবার বলা হবে 'তুমি কে? আমি কে? মৌলবাদ, মৌলবাদ!'"
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, "আমরা পরিষ্কার বলি বাংলাদেশ নিয়ে এখন আর কেউ এটা বলবেন না। আমি এখন এটা বলতে শুনি। এটা বললে আমাদের কষ্ট লাগে। দেশটা কারো বাপের না। কেন কষ্ট লাগবে? কষ্ট লাগলে বুঝতে হবে যে এখনো রাষ্ট্রের মালিকানা আপনারা কেউ কেউ ব্যক্তি কিংবা দল দাবি করার চেষ্টা করছেন।"
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ যোগ করেন, "আমাদের ২৪শের ছাত্রজনতা বেশ, কারো বাপের নাই স্লোগান এখনো দেয়ালে দেয়ালে লাল কালিতে দেখা যায়। যদি সাহস থাকে তাহলে সেগুলো মুছে ফেলুন। না হলে এর বিরুদ্ধে কথা বলার নৈতিক শক্তি আমাকে, আপনাকে কে দিয়েছে?"
তিনি আরও বলেন, "আমি আজকে এ কথা এজন্য বলছি ভাইয়েরা, ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আমরা সেই ৭১ এর পরেও দেখেছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা তাদের সন্তান, তাদের মেয়েকে লাঞ্চিত করা হয়েছিল। তাদের বাড়িঘর দখল করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ২৪শে এই জুলাই আগস্টের গণভুত্থানের পর এখন হান্নান মাসুদকে কেন আক্রান্ত করা হবে? ঠিক কেন আমাদের শহীদ পরিবারের সন্তান তার মেয়েকে পটুয়াখালী কবর জিয়ারত করার মত একটা স্পর্শগতর জায়গায় কেন আমাদের মেয়েকে লাঞ্চিত করে তার ইজ্জত হানি করা হবে? কে করেছে, কারা করেছে, চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।"
তিনি বলেন, "এগুলো একাত্তর এ সেই পরবর্তী চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি, একই পরিকল্পনার একই ছকে যারা হাঁটছেন, মানুষ এখন এ কথা বলতে শুরু করেছে, 'যেই লাউ সেই কদু'। মানুষ এখন এ কথা বলতে শুরু করেছে ৭১ সাল পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থবহ স্বাধীনতা দেওয়ার পরিবর্তে স্বাধীনতাটাকে ব্যক্তি, দল এবং পরিবারের কুক্ষিগত একটা সম্পত্তিতে আপনারা কেউ কেউ পরিণত করার চেষ্টা করেছিলেন।"
সূত্র: https://tinyurl.com/yc7frp2z
আফরোজা