
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শিল্পপতি সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে দিশেহারা জাতিকে সঠিকপথে চালিত করতে পারে। তারা গণমাধ্যমে সমাজের অসংগতি তুলে ধরেন। সমাজের ভুল ত্রুটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী কোন কোন সময় সাংবাদিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। ভুল পথে পরিচালিত করে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে কিছু সাংবাদিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যার বিচার ১২ বছরেও হয়নি। ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের হত্যা রহস্যও উদঘাটন করতে দেয়নি। এতেই বুঝা যায় সরকার এ হত্যায় জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হল দেশ ও জাতির পক্ষে লেখা। দুর্নীতি অনিয়ম তুলে ধরা। তাতেই দেশ সুপথে এগিয়ে যাবে।
তিনি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ফটিকছড়ি সাংবাদিক পরিষদ-চট্টগ্রাম আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফটিকছড়ি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুল আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আজম তালুকদার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ নোমান। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, নির্মল চন্দ্র দাশ, প্রবীর বড়ুয়া, সৈয়দ তারেকুল আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক শেখ মোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চু বড়ুয়া, আহসানুল কবির রিটন, গোলাম সরওয়ার, এম আর আমিন, জীবন মুছা, সুমন কুমার দে প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলায় অনেক সমস্যা। এসব সমস্যা গণমাধ্যমে তুলে ধরলে সরকার সমাধান করবে। তিনি বলেন, ফটিকছড়ি থেকে উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অথচ ফটিকছড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে ফটিকছড়ির ১৮টি চা বাগানসহ আবাসিকে গ্যাস সংযোগের দাবি জানান।
তিনি বলেন, একটি চক্র নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করার চেষ্টা করছে। এটা কখনো শুভ নয়। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততই ষড়যন্ত্র বাড়বে। তিনি অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নিঃস্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।
আফরোজা