ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

জুন পর্যন্ত ভোট গড়ানো মানে কি দীর্ঘ সংস্কারের দিকে হাঁটছে সরকার,যা বলছেন বিশ্লেষকরা

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২৭ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১২:৪৯, ২৭ মার্চ ২০২৫

জুন পর্যন্ত ভোট গড়ানো মানে কি দীর্ঘ সংস্কারের দিকে হাঁটছে সরকার,যা বলছেন বিশ্লেষকরা

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার গত মঙ্গলবারের ভাষণে নির্বাচন ডিসেম্বরে না হওয়ার ইঙ্গিত দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সরকার নির্বাচনের সময় পেছানোর মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সুবিধা তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও সরকার বারবার সংস্কারের জন্য সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনের সময় বাড়ালে সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। এতে জনগণের আগ্রহও কমে যাবে।

রাজপথে থাকা দলগুলোর মূল দাবি ঘোষিত ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন, এবং প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক ঘোষিত ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সময়সীমার মধ্যে তারা নির্বাচনের আয়োজন চান। গত মঙ্গলবারের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। নাগরিক কমিটির মাহমুদুর রহমান মান্না মন্তব্য করেন, "মনে হচ্ছে, ডিসেম্বরে আর নির্বাচন হবে না, বলা হয়েছে ডিসেম্বব্র থেকে জুন, কিন্তু এর মাঝে কখন সেটি পরিষ্কার হয়। কারণ এখনও জানানো হয়নি, যে নির্বাচন ঠিক কখন হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও তেমন দৃশ্যমান নয়।"

সরকারের বার্তা ছিলো যে সংস্কারের সাথে নির্বাচনের সময়সীমা মিলিয়ে নির্ধারণ করা হবে, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সময় বাড়ালে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে। মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, "এই প্রক্রিয়া অনুযায়ী, ড. ইউনুস যেভাবে সংস্কার চাইছিলেন, তেমনভাবে তা সম্ভব নয়, কারণ বিএনপি সংবিধান সংস্কারে তাদের জায়গা ছাড়বে না।"

বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনের সময় যত বাড়বে, ততই সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়বে।

কানন

×