
ছবি:সংগৃহীত
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধানের ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন উঠেছে এবং অনলাইনে অনেকেই তাকে পদত্যাগ করার জন্য বলছেন, কিন্তু তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন যে সেনাবাহিনীর প্রধানের পদত্যাগ বা না করার বিষয়টি রাজনৈতিক কর্মীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। তিনি উল্লেখ করেন, যে সেনাবাহিনী তিনি চান, তা মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনী হবে, যেমনটি তিনি 1971 সালে দেখেছিলেন – সেনাবাহিনী যা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল।
তিনি আরও বলেন, গত 18 বছরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে যে অস্থিরতা এবং নির্যাতন লক্ষ্য করা গেছে, তা তার মুক্তির সংগ্রামের সঙ্গে মেলেনা। এই সময়েই তিনি সেনাবাহিনীর সংস্কারের কথা বলেন। তার মতে, সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একটি সমালোচনামূলক রিভিউ প্রয়োজন, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলির সংশোধন প্রয়োজন তা দেখা উচিত।
ফুয়াদ আরও জানান, কিছু দিন আগে তিনি যে টকশোতে অংশ নিয়েছিলেন, সেখানে নতুন রাজনৈতিক দল এবং কিছু নেতার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কয়েকজন দলের নেতা একে অপরের বক্তব্যকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন, যা দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন এমন একটি সময় এই বিতর্কগুলো সামনে এসেছে এবং কি এই সময়ে কেউ রাজনৈতিকভাবে খেলা করছে?
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে যেমন পাকিস্তান, মিশর এবং তুরস্কের মতো দেশগুলিতে সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে, তেমনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খান, মিশরে মুসরি, এবং তুরস্কে এরদোয়ানকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন, যাদের ওপর সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল।
ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে এবং তিনি চান, সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা যেন তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, সেনাবাহিনী এবং দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে যাতে তারা জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
সূত্র:https://youtu.be/KqrMxp9mEq4?si=KIMYoe3D_fbj60Bv
আঁখি