
ছবি:সংগৃহীত
সাইয়েদ আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে অংশগ্রহণ করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং লক্ষ্য করা গেছে যে এগুলি বিচ্ছিন্ন নয়, বরং একটি কোঅর্ডিনেটেড চক্রের অংশ। তিনি মনে করেন যে এই ঘটনাগুলির পেছনে এমন কিছু চক্র কাজ করছে যারা দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
আবদুল্লাহ আরও বলেন, কিছু নতুন দল এবং ছাত্র সংগঠন এখন শুধুমাত্র ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত না, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তার মতে, এই রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে একাধিক কাজ করা হচ্ছে এবং এসব কাজ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে থাকে, যা রাজনৈতিক দলে গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তিনি উল্লেখ করেন যে, আর্মি চিফের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া দুটি নেতার ব্যাপারে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মিথ্যা বলছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। এ ছাড়া, কিছু গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে, যা পরিস্থিতি আরও অস্থির করে তুলেছিল।
তিনি আরও বলেন, যে সময়ে এ ধরনের ঘটনাগুলি ঘটছে, তখন রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সমঝোতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একটি প্রশ্ন তোলেন, যদি সরকার ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন থাকে, তবে কেন তারা ছাত্রদের কিছু বিষয়ে সহানুভূতিশীল আচরণ করছে না এবং কেন ছাত্রদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ভূমিকা নির্ধারণ করা হচ্ছে না।
এছাড়া, তিনি যুক্তি দেন যে সরকার কিছু রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের প্রতি অত্যন্ত নমনীয় আচরণ করছে, এবং সেগুলি ছাত্র সংগঠনগুলোর মাধ্যমে কিছু পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। এসব ঘটনা এবং গুজবের পেছনে একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক চক্রের ইঙ্গিত রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
অবশেষে, আবদুল্লাহ বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু মূল প্রশ্ন উঠছে, যেমন সরকার কি আদৌ রাজনৈতিক দলগুলোর নিষিদ্ধকরণের জন্য প্রস্তুত? তিনি এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও স্পষ্টতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় ও কার্যকর হয়।
আঁখি