ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন মেজর জিয়ার হাতে ধরে হয়েছে: সেলিমুজ্জামান সেলিম

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ২৬ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন মেজর জিয়ার হাতে ধরে হয়েছে: সেলিমুজ্জামান সেলিম

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই আওয়ামী লীগ নতুনভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। এখন অনেকে সংস্কারের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার যদি কাউকে বলা হয়, তবে আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের কথাই বলবো।”

স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, বরং একটি দল একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের বাক-স্বাধীনতা হরণ করেছে।

তিনি বলেন, “যে দলটির প্রধান পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন, সেই দলের অধিকাংশ নেতা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তারা রাজনৈতিক আন্দোলনের চেয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় শহীদ জিয়াউর রহমান মুক্তিকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

বাকশাল বাতিল ও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর একটি রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে, কিন্তু সরকার গঠন করেই তারা দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়। মাত্র চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।”

তিনি দাবি করেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান কখনো রাজনীতিতে আসতে চাননি। কিন্তু সিপাহি-জনতার বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ তাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছে। ক্ষমতায় এসে তিনি একদলীয় বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। আওয়ামী লীগ যখন রাজনীতি করার সুযোগ হারিয়ে ফেলে, তখন জিয়াউর রহমানই তাদের নতুনভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করার সুযোগ দেন।”

শহীদ জিয়াই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথিকৃৎ সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, “বর্তমানে যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারাই একসময় বাকশালের নামে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। শহীদ জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও হয়তো রাজনীতির মঞ্চ থেকে হারিয়ে যেত।”

আশিক

×