
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য নির্বাচন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। তিনি ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন করেছেন, যা ইতিহাসে বিরল।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকালে রংপুর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড্যাব রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদুল হক সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, রংপুর জেলা ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. মো. খালেকুজ্জামান বাদল, সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার, ড্যাব রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ডা. আকমল হাবিব চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব শামসুজ্জামান সরকার, মহানগর ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায়, সদস্যসচিব ডা. শরিফুল ইসলাম নন্টু, রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম মণ্ডলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনলেই বোঝা যায়, তার মধ্যে অত্যাচারী মনোভাব বিদ্যমান। ক্ষমতার লোভ এখনো আওয়ামী লীগের মধ্যে কাজ করছে। পালিয়ে গেলেও শেখ হাসিনার মন থেকে হত্যাকাণ্ড ও অত্যাচারের প্রবণতা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, "জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার মধ্যে কোনো অনুশোচনা তৈরি হয়নি। তার মধ্যে এখনো হত্যার মানসিকতা ও প্রতিহিংসা রয়েছে।"
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে রিজভী বলেন, "তিনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এক লাখ মানুষ মারা যাবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর দেশে এমন কিছু ঘটেনি। বরং, মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্যই তিনি এসব কথা বলেছিলেন।"
দেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তিনি বলেন, "যদি স্বাস্থ্যখাতে সঠিক উন্নয়ন হতো, অবকাঠামোগত অগ্রগতি হতো, তাহলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতেন না। একই বই ও একই চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্বের সব চিকিৎসক অনুসরণ করেন, তবুও মানুষ কেন বিদেশে যায়? এই পরিস্থিতি পরিবর্তন একমাত্র দেশের চিকিৎসকরাই আনতে পারেন।"
নুসরাত