
ছবি: জনকণ্ঠ
ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাবির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, ২৪-এর এই বিপ্লবের মহানায়ক হলো শহীদ ও গাজীরা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা হটাতে এ দেশের আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। এই কৃতিত্ব একা কারও নয়। কেউ মাস্টারমাইন্ড নয়। আসল মাস্টারমাইন্ড হলো শহীদ ও গাজীরা। দাউদকান্দি পৌরসভার শহীদ রিফাত শিশু পার্কে ছাত্র শিবিরের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম এই ছাত্রনেতা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই নতুন বাংলাদেশে যেন আমরা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারি। আর কত রক্ত দেব আমরা? স্বাধীনতার ৫৩ বছর যাবৎ আমরা রক্ত দিচ্ছি, জীবন দিচ্ছি। আমরা চাই, সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি— জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও গাজীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। আমরা তাদের পরিবারকে অবহেলায় ও অনাদরে দেখতে চাই না। এছাড়াও তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও শহীদ ও গাজী পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়ে খোঁজখবর রাখার অনুরোধ করেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকালে দাউদকান্দি পৌরসভার শহীদ রিফাত শিশু পার্কে উপজেলা ছাত্র শিবিরের আয়োজনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এই ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন— পৌর জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা আবুল কাশেম প্রধানিয়া, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবদুল্লাহ আল আফিফ, সাজ্জাদ হোসাইন, কুমিল্লা জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল আদনান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক মো. জিসান মিয়া, পৌর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক নেতা রেজাউল হক সরকার, জামায়াতে ইসলামী নেতা বিল্লাল মিয়াজী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী তৌফিক রুবেল এবং স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের সাথী ও সমর্থকবৃন্দ।
ইফতারপূর্ব আলোচনা শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মতিউর রহমান সিদ্দিকী।
এম.কে.