
আবদুল হান্নান মাসুদ হাসিনা সরকার পতনের এক দফার ঘোষক। সে ৫ আগষ্টের আগে একাধিক বার রাজপথে হামলার শিকার হয়েছেন। আজ তাকে তার নিজ জন্মভূমি হাতিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হতে হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আবদূল হান্নান মাসুদের উপর হামলার ঘটনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রিয় যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ। মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়া উপজেলা সদরে ধানসিঁড়ি গেষ্ট হাউসের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আবদুল হান্নান মাসুদের পক্ষে এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ, তৌহিদুর রহমান, মো. ইসমাইল ও হাসিদুর রহমান। আহত হয়ে অসুস্থ্য থাকায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারেন নি আব্দুল হান্নান মাসুদ।
লিখিত বক্তব্যে হাফিজুর রহমান আরো জানান, আবদুল হান্নান মাসুদের জনপ্রিয়তায় ঈশর্^ানিত হয়ে তার উপর হামলা করা হয়। হামলার ঘটনায় সরাসরি বিএনপির নেতা কর্মীরা জড়িত। তারা জিয়ার সৈনিক শ্লোগান দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আবদুল হান্নান মাসুদ সহ আমাদের ৫৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে বাইরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হামলার ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন দুঃখ প্রকাশ কিংবা নিন্দা প্রকাশ করা হয়নি। এতে আমরা মনে করছি এ ঘটনাটি বিএনপি পরিকল্পিতভাবে করেছে। আমরা সিিিসটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছি বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা কর্মী এ হামলার সাথে জড়িত ছিলেন। আমরা তাদের নাম উল্লেখ করে ইতোমধ্যে থানায় তাদের নামে লেখিত অভিযোগ দিতেছি।
উল্লেখ্য সোমবার সন্ধ্যার পর উপজেলার জাহাজমারা বাজারে আব্দুল হান্নান মাসুদের পথসভায় হামলা করা হয়। এতে আব্দুল হান্নান মাসুদ সহ অনেকে আহত হন। এই ঘটনায় হান্নান মাসুদের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ি করা হয়।
আফরোজা