
ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খালেদ মুহিউদ্দিন সম্প্রতি তার ইউটিউবে প্রচারিত অনুষ্ঠান 'ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দিন'-এ আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, এই সময়কালে সরকার ও শাসক দলের নেতারা দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে কল্পনাও করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন—
"গত ১৫ বছরে যথেষ্ট পরিমাণ লুটপাট হয়েছে, আসলে এটা বলার কিছু নেই। এটা একদম স্পষ্ট যে মানুষ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় আর আওয়ামী লীগের লিডারদের আমরা আঙুল ফুলে বটগাছ হতে দেখেছি। হাজার কোটি টাকা পাচার হতে দেখেছি, সূচক টেম্পারিং করে আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির অগ্রগতি দেখিয়েছে।"
এই বক্তব্যে তিনি পতিত আওয়াাম সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং বলেন যে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী এবং তাদের ঘনিষ্ঠ মহল অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক জালিয়াতি করে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা বাস্তবের সঙ্গে কোনোভাবেই মেলে না।
খালেদ মুহিউদ্দিন আরও বলেন যে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে, বিগত আওয়ামী সরকার "সূচক টেম্পারিং" করে অর্থনীতির চিত্র বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে, যাতে আন্তর্জাতিক মহলে উন্নয়নের মিথ্যা ধারণা তৈরি করা যায়।
কানন