
ছবি:সংগৃহীত
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমান আযমী তাঁর বক্তব্যে বলেন, "ভারত জানে, এই দেশে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হল সেনাবাহিনী। একটার পর একটা নিউজ দিয়ে তারা আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। বর্তমানে কিছু অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যেগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।" তিনি উল্লেখ করেন, "অভ্যুত্থান হবে, সেনাবাহিনী বিপদে পড়বে—এসব খবর একদম মিথ্যা। গত কয়েকদিনে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, এসব কিছুই ভিত্তিহীন।"
তিনি আরও বলেন, "ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটারে যেসব কথা লিখছেন, তা ভুল ধারণা তৈরির চেষ্টা। আমি বলি, যদি ভারত সামরিক আগ্রাসন চালাতে আসে, বাংলাদেশের জনগণ ৭১ সালের মতো প্রতিরোধ করবে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ছাত্র, যুবক—সবাই মিলিতভাবে দেশ রক্ষায় লড়াই করবে।"
অমান আযমী বলেন, "ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস আমাদের আছে। ভারত যত শক্তিশালী সেনাবাহিনী নিয়েই আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে আসুক, তাদের জন্য তা সহজ হবে না। আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত, তাদের জনবল কখনওই আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তুলনায় তিন গুণ বেশি হবে না।"
তিনি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কথা তুলে ধরে বলেন, "ভারতের কোনো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই, তাদের জন্য বাংলাদেশের সেনাবাহিনী একটি বড় আতঙ্কের কারণ। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যদি শিলিগুড়ি করিডোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি ব্লক করে দিতে পারে, তবে ভারতের সাত রাজ্যের মধ্যে লজিস্টিক সাপ্লাই চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।"
তিনি আরও বলেন, "ভারতের শত্রু শুধু বাংলাদেশ নয়, তাদের শত্রু অনেকগুলো দেশ। পাকিস্তান, চীন, শ্রীলঙ্কা—এই সব দেশগুলোর সঙ্গে ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে আছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং আজও থাকবে। আমাদের দেশের মানুষ ভারতীয় আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।"
তিনি ভারতে কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর শত্রুতা ও অপপ্রচার নিয়েও মন্তব্য করেন, "এরা দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। এগুলি সবই ভুয়া খবর, যা শুধু আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী মানুষের আস্থার জায়গায় এখনো রয়েছে, এবং ভারত কখনই আমাদের ভীতি দেখাতে সক্ষম হবে না।"
অমান আযমী বলেন, "সবশেষে, ভারত যদি বাংলাদেশে কোনো সামরিক আগ্রাসন চালায়, তবে বাংলাদেশের জনগণ একসাথে প্রতিরোধ করবে, এবং সেনাবাহিনী তাদের সহায়তা করবে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত শক্তি ভারতের আগ্রাসনকে প্রতিহত করবে।"
আঁখি